নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজ্ঞান পাঁজিকে মানে না। কিন্তু পাঁজি বিজ্ঞানকে মানে। কেননা পাঁজি তৈরির ক্ষেত্রে তিথি নক্ষত্রের গমনাগমন, উদয়াস্ত, এইসবই একটি নির্দিষ্ট সুত্র মেনে চলে। সেই হিসাবেই ঠিক হয় কোন তিথি ঠিক কতখানি থাকবে। সেটাই তুলে ধরা হয় পাঁজিতে। এবার সেই বিজ্ঞান আর পাঁজির এক অপূর্ব মেলবন্ধন চাক্ষুষ করতে পারে বাংলা। নেপথ্যে পুজোর সময় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল আমরাই প্রথম জানিয়েছিলাম পুজোর সময় প্রবল দুর্যোগের সাক্ষী থাকতে পারে বাংলা(Bengal)। ‘স্বাভাবিক বর্ষার ছন্দপতন ঘটবে বঙ্গে, প্রবল দুর্যোগ পুজোয়’ শীর্ষক সংবাদে(https://www.eimuhurte.com/state/monsoon-will-be-not-normal-in-bengal-even-cyclone-can-possible-during-durtgapuja) আমরাই প্রথম জানিয়েছিলাম দুর্গাপুজোয়(Durga Puja) থাকছে ঘূর্ণীঝড়ের সম্ভাবনা। এখন দেখা যাচ্ছে সেই হিসাব কার্যত মিলে যেতে চলেছে। কেননা সত্যিই আসছে এক ঘূর্ণীঝড়।
পূর্বের প্রতিবেদনে আমরা জানিয়েছিলাম, IMD’র পূর্বাভাস ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর সময়ে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে পারে একাধিক ঘূর্ণিঝড়। আর এই সময়েই বাঙালির দুর্গাপুজো। ১৪ অক্টোবর মহালয়া, ২১ অক্টোবর সপ্তমী এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। IMD’র এই পূর্বাভাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাংলার পঞ্জিকা বিশারদরাও। তাঁদের দাবি, এবার একটি বিরল যোগ পড়েছে দুর্গাপুজোর সময়। মা এবার আসছেন ও যাচ্ছেন ঘোড়া বা ঘোটকে। যার ফল ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ প্রবল ঝড়বৃষ্টি। খুব কম এই যোগ দেখা যায়। মা সাধারণত এক বাহণে আসেন ও অপর বাহণে যান। কিন্তু স্মরণাতীতকালে এই বিরল যোগ তৈরি হয়েছে। যার সার মর্ম, বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব এবার প্রবল দুর্যোগের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এখন সেটাই সত্যি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন সত্যি হবে তা? IMD সূত্রেই জানা গিয়েছে, অক্টোবরের একেবারে শুরুতে থাইল্যান্ড সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে তা ক্রমশ শক্তি বাড়াতে বাড়াতে হাজির হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal)। সেখানেই সে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় যদি শেষ পর্যন্ত তৈরি হয়, তাহলে সেটির নাম হবে ‘তেজ’(Bay of Bengal)। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড় ১০ থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে পা রাখবে। তবে সেটি কোথা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ও তার শক্তি সম্পর্কে এখনই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন IMD’র বিশারদরা। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে যে কোনও এক জায়গায় সেটি আছড়ে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। আর এই নিয়ে ৩ রাজ্যকেই আগাম সতর্কও করে দিতে চলেছে IMD।
