এই মুহূর্তে




কন্যাশ্রী-রূপশ্রী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়, স্বীকৃতি UNICEF’র

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে মেয়েদের স্কুলছুট আর বাল্যবিবাহ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করেন কন্যাশ্রী(Kanyasree) আর রূপশ্রী(Rupasree) প্রকল্প দুটি। সেই দুই প্রকল্পই রাজ্যজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০১৭ সালে কন্যাশ্রীকে শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের তকমা দেয় খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘ বা United Nations Organization, যাকে অনেকেই UNO বলে ডাকেন। সেই ঘটনা ছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। নেদারল্যান্ডসে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেই পুরষ্কার নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তো খোদ কলকাতা শহরের বুকে দাঁড়িয়ে UNO’র অধীনস্থ সংস্থা United Nations Children’s Fund বা UNICEF’র প্রতিনিধি জানিয়ে দিলেন, কন্যাশ্রী আর রূপশ্রী এই দুই প্রকল্পই শুধু বাংলার বুকে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমিয়ে দিয়েছে তাই নয়, সমাজে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির আর্থিক উন্নতিসাধনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সামাজিক ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন, নোনাপুকুরে মিষ্টিহাব তৈরির কাজে গতি আনতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Confederation of Indian Industry বা CII’র Eastern Region দ্বারা আয়োজিত ‘Impact East’, শীর্ষক এক আলোচনাসভায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ রাজ্যে নিযুক্ত UNICEF’র Chief of Field Office মঞ্জুর হোসেন কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঞ্জুর জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়। এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে। পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিও আর্থিক উন্নতির মুখ দেখেছে। মেয়েদের উন্নয়নেও এই দুই প্রকল্পের ভূমিকা স্বীকার করতেই হবে। এই দুই প্রকল্প শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের দরবারের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির কাছেও অনুকরণীয়।

আরও পড়ুন, দলের রাশ নিজের হাতে নিচ্ছেন মমতা, খুশি নেতা থেকে কর্মীরা

ঘটনা হচ্ছে, আর জি কর-কাণ্ড পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যে মহিলাদের কাজের স্বাধীনতা ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে রাজ্যের সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে UNICEF’র মতো সংস্থার প্রশংসা ও স্বীকৃতি সমালোচকদেরও জরুরি বার্তা দিয়ে দিল। মঞ্জুর জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরে তাঁরা দেখেছেন কন্যাশ্রী আর রূপশ্রী প্রকল্প দুটি সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা নিয়েছে। এই দুই প্রকল্পে ভর দিয়ে গ্রাম বাংলার মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। তাঁরা এখন আর পড়াশোনা ছেড়ে অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাইছে না। তাঁরাও এখন দুই চোখে স্বপ্ন দেখছে বড় হওয়ার, চাকরি করার, নিজের পায়ে দাঁড়াবার। এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো খুব সহজ কথা নয়। কিন্তু এই দুই প্রকল্পের হাত ধরেই রাজ্য সরকার তা করে দেখাতে পেরেছে যা নিঃসন্দেহে প্রশসংনীয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগামী বছর কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি

পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকলেন মমতা

মমতার লড়াইয়ের ফল, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল মোদি সরকার

আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি কাণ্ডে এবার গ্রেফতার আশিস পান্ডে

পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসুন জুনিয়র ডাক্তারেরা, পরামর্শ সিনিয়রদের

মাত্র হাজার টাকার বন্ডেই জামিন পেয়ে গেলেন রূপা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর