নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড় জেলে। তাঁর অনুপস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বীরভূমে লড়াইয়ের জন্য কোর কমিটি ভেঙে পাঁচ জনের বিশেষ কমিটি গঠন করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ঘোষ, বিকাশ রায় চৌধুরী ও অভিজিৎ সিনহা। ভোটের জন্য গঠিত কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের। তাঁকে নানুর ও কেতুগ্রাম বিধানসভায় সাংগঠনিক বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূম জেলা তৃণমূলের পদাধিকারী, বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলীয় নেতাদের নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করার কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘দলের অন্দরে খেয়োখেয়ি বন্ধ করতে হবে। কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমেও দল অস্বস্তিতে পড়ে এমন কোনও পোস্ট করা যাবে না। যদি কারও কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে দলের মধ্যেই তা নিয়ে কথা বলতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে হবে।’
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই জেলায় সাংগঠনিক কাজকর্ম ভাগাভাগি করে দেখভালের জন্য কোর কমিটি গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল ওই কোর কমিটি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই কোর কমিটির সদস্যরা পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। এমনকি পৌষ মেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় কাজল শেখের উপরে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে কোর কমিটি ভেঙে দিয়েছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি বিজেপি কোথাও সভা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে পাল্টা সভা করারও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।