নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পৌরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান এসেসমেন্ট ডিপার্টমেন্ট তার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে না । একাধিক ফাইল দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। ফলে বহু কাজ আটকে থাকছে। আর কিছুদিন তিনি দেখবেন। তারপর তিনি গোটা ডিপার্টমেন্টকে শো কজ করবেন। ফিরহাদের চরম হুঁশিয়ারি জনগণের করের টাকায় বেতন পেয়ে যদি কেউ কাজ না করে তাহলে সে থাকবে আর না হলে তিনি মেয়র হিসেবে পুরসভায় থাকবেন না। শুক্রবার কলকাতা কর্পোরেশনের টক টু মেয়র(Talk To Mayor) শো’র পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতা পৌরসভা মেয়র ফিরাদ হাকিম(Mayor Firhad Hakim)।
শহর কলকাতার যে সমস্ত ওয়াটার বডি নিয়ে আসেস্মেন্ট বিভাগ খুব ধীরে গতিতে কাজ করছে। তারা যদি ঠিক ভাবে কাজ না করে তাহলে সমস্ত বিভাগ কে শো কজ করা হবে। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন আসে যায় মাইনে পাই। এটা হবে না। যে অভিযোগ করেছেন আমি নিজেই খুঁটিয়ে দেখতে সেই জায়গায় যাব বলে জানান মেয়র। তবে কাউন্সিলরের পাশে দাড়িয়ে তিনি বলেন, যে এটা কাউন্সিলরদের কাজ নয়।জোকা ব্যাপারটা আমি নিজে ছিলাম। প্রতিভা প্যাটেল এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে জমির ব্যাবস্থা করেছিলেন। পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাহলে এই প্রকল্পই হত না বলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন ,আমাদের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় একটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির(Pranab Mukherjee) সঙ্গে কথা বলে রাস্তা থেকে মিন্ট সরানো হয়েছিল। রেলের পুরো প্ল্যানিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল বলে পাল্টা দাবি করলেন তিনি। নোয়াপাড়া মানুষকে পূর্নবাসন করে জায়গায় দেওয়া হয়েছিল। নতুন সরকার ঠিক সময় পয়সা দেয়নি তাই প্রকল্প দেরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রেল মন্ত্রী থাকাকালীন রেলের সব কাজ হয়েছে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।টলি নালা কাজ খুব দ্রুতই করা হবে। অর্থের যোগান এসে গেছে। লক গেট বসানোর একটা পরিকল্পনা আছে। ১১৭ এবং১১৮ ওয়ার্ডে কাজ হয়েছিল। সেটা হয়ে গেলে টলি নালা কাজ সম্পন্ন হবে।
এটা মমতাদির প্রকল্প আজকের নয়, বহু দিন আগে। তার প্লান্নিংয়ে কলকাতার মানুষ গ্রীন ট্রান্সপোর্টেশন পান। তার জন্য তিনি চেষ্টা করেছিল। সবাই কে নিয়ে সময় সময় মধ্যে কাজ করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী(PM) করছেন খুব ভালো কথা তার মানে এটা নয় যে সব উনি করে গেছেন। শুধু শিলান্যাস নয় সব কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে গেছেন।মুখ্যমন্ত্রী জয়শ্রী রাম স্লোগান শুনতে চান না। ওইখানে জয় শ্রী রাম বলবেন কেনো। রাম কে নিয়ে ছেবলামি করছে তারা। রামের অপমান করছে। রামকে রাস্তায় নিয়ে আসা হচ্ছে।কুণাল ঘোষের বিষয়ে তিনি বলেন যে আমরা কোনো অনুমতি দিইনি। কে কি বলেছে আমি জানি না।
কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন ,আমার কাছে একটা বিরল দৃশ্য। আমরা যখন খুব ছোট তখন দেখেছি পেলে খেলছেন। স্কুল থেকে কলেজ এসেছি তখন পেলে কলকাতা এসেছিলেন। সেই সময় মোহন বাগানের সঙ্গে কসমস এর খেলা ছিল। খেলার ফলাফল ২-২ হয়েছিল। পেলে যখন দ্বিতীয় বার এলেন তখন তাকে আমি রিসিভ করে ছিলাম। আমার ক্লাবে গেলেন। ফুটবলে সই করলেন। তিনি আমাকে জিগেশ করলেন এটা কি । তখন আমি তাকে বুঝিয়ে ছিলেন যে এটা মা দুর্গা । পেলে আমাদের কাছে একটা স্বপ্ন। লিজেন্ড কোনো দিন মরে না। তিনি আমাদের মনে থাকবে।শুভেন্দুর(Suvendu) উস্কানিতে গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভের ঘটনা হচ্ছে। আবাস যোজনার বিক্ষোভ নিয়ে বলেন ফিরহাদ হাকিম।পুলিশ যে নিরেপক্ষ তারই প্রমাণ যে তৃণমূল অনুমতি পাইনি আর বিজেপি কে অনুমতি দেয়নি। পুলিশ যদি মনে করে তারা অনুমতি নাও দিতে পারেন। এক জানুয়ারি আমার প্রোগ্রাম আছে। পুলিশ অনুমতি না দিলে জোর করে করা উচিত নয় বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
