এই মুহূর্তে




কোন পথে আন্দোলন চলবে, শুভেন্দুর মতে সায় নেই বেশিরভাগের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও একা হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে সায় দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। আর কি কর কাণ্ডে(R G Kar Incident) গেরুয়া শিবিরের আন্দোলন কোন পথে চলবে, তা নিয়ে শুভেন্দুর মত ছিল, অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানো হোক। কিন্তু তাতে সায় নেই দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) সহ দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও(Dilip Ghosh)। তাঁরা পদ্ম-ঝান্ডা হাতেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছেন। শুভেন্দু শিবিরের দাবি, সময়টা সত্যাগ্রহের নয়, বরং জঙ্গি আন্দোলনের। যে হেতু সাধারণ মানুষের একাংশ নিজে থেকেই পথে নেমেছেন, তাই বিজেপির ব্যানারে নয়, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তাতে লাভও হবে। কিন্তু এর বিরুদ্ধ মতের দাবি, ঝাণ্ডা ছাড়া আন্দোলন করলে তার রাজনৈতিক লাভ চলে যাবে বামেদের ঝুলিতে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে বামেরা। সেক্ষেত্রে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারাবে পদ্মশিবির।

আরও পড়ুন, ১২টি গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ব্যানারে সম্প্রতি যে নবান্ন অভিযান হয়েছিল তাতে নাগরিক সমাজের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিও নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়েছিল। আন্দোলনকে যা কার্যত গুরুত্ব দিয়েছে। শাসকের ওপর চাপ বেড়েছে। সেখানে যদি দলের ঝাণ্ডা থাকতো তাহলে এই সমর্থন পাওয়া যেত না। কিন্তু সুকান্ত শিবিরের মত, আর জি কর নিয়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন যেমন চলছে, চলুক। পাশাপাশি বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন, সত্যাগ্রহও চলুক। রাজনীতির লোকরা তো রাজনীতিই করবেন। তাঁরা অরাজনৈতিক হয়ে হাতে মোমবাতি ধরলে উল্টো ফল হবে। কোনটা রাজনৈতিক মিছিল, আর কোনটা অরাজনৈতিক—এই বিভ্রান্তি থেকে অনেকেই আন্দোলন বিমুখ হয়ে উঠতে পারেন। তাতে আখেরে লাভ হবে তৃণমূলেরই। অর্থাৎ শুভেন্দু এখন যাই বলুন না কেন, সেটা আর একবাক্যে বিজেপির কেউ গিলছেন না। শুভেন্দুর ‘হ্যাঁ’য়ে ‘হ্যাঁ’ মিলিয়ে আর সায় দিচ্ছে না কেউ।

আরও পড়ুন, ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের Biometric Attendance বাধ্যতামূলক করছে KMC

আর জি কর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে বিজেপি লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মতলায় তাদের ধর্না রবিবার ৪ দিনে পড়ল। এর আগে শ্যামবাজারে টানা ৫ দিন ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এ ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ এবং পথ অবরোধ কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবির। এর পর আর জি কর নিয়ে প্রতিটি জেলায় ধর্নায় বসারও ভাবনা-চিন্তা রয়েছে সুকান্তদের। সম্ভবত বঙ্গ বিজেপির তরফে কলকাতায় একটা মহামিছিলের ডাকও দেওয়া হতে পারে। সেটা বিজেপির ব্যানারেই হবে। হাতে পদ্ম-ঝান্ডা নিয়েই সেখানে সামিল হবেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। তবে আন্দোলনের এই পথে হাঁটার পক্ষপাতী নয় শুভেন্দুপন্থীরা। তাঁদের দাবি, ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে শুকনো মুখে বসে থাকার চেয়ে অরাজনৈতিক ব্যানারে একটা নবান্ন অভিযানের প্রভাব অনেক বেশি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বাংলায় মারা গিয়েছেন ২৩জন, সুপ্রিম কোর্টে জানালো রাজ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের ১ মাসের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ৯ লক্ষ মানুষ

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর