নিজস্ব প্রতিনিধি: ভুল করেছিল বারুইপুরের (Baruipur) এক নার্সিংহোম (Nursing Home)। নার্সিংহোমের চিকিৎসক (Doctor) সদ্যোজাত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় ভুল লিখেছিলেন নথিতে। আর তার জেরে একরত্তিকে মায়ের কোলের বদলে পাঠানো হল হোমে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির পদ্মপুকুরের বাসিন্দা রুমা হালদার। সন্তান প্রসবের জন্য বারুইপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন রুমা। কিন্তু নার্সিংহোমে জন্মের পর শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে নার্সিংহোমের চিকিৎসক রেফার নথিতে শিশুটির লিঙ্গপরিচয় লিখেছে কন্যা। যার ফলে শিশুকে নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। অজ্ঞাত পরিচয় শিশু হিসাবে তার চিকিৎসা শুরু করা হলেও একরত্তিকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে এনআরএস কর্তৃপক্ষ।
নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ৯ তারিখে যখন ভর্তি করা হয়, সেই সময় যে রেফার নথি জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানে শিশুটির পরিচয় লেখা ছিল কন্যা। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির সময় দেখা যায় শিশুটি আদতে পুত্র। এরপর জটিলতা তৈরি হয়। ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসেবে ভর্তি করে নেন এনআরএস এর চিকিৎসকরা। এনআরএস হাসপাতালের তরফে ওইদিন রাতে বারুইপুরের নার্সিংহোমে ফোন করা হয়। যদিও নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, শিশুটি সেখানে জন্ম গ্রহণ করেছে এবং চিকিৎসকের ভুলে তাকে কন্যা লেখা হয়েছে। অভিযোগ এর পরেও এনআরএস হাসপাতাল শিশুটিকে তার বাবা মায়ের কাছে ফেরত দেয়নি। সোমবার শিশুটিকে শিশুকল্যাণ কমিটির কলকাতা শাখার হোমে স্থানান্তর করা হয়। শিশুকল্যাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের লোকজন এবং শিশুর বাবা এসেছিলেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সরেজমিনে তদন্ত শেষে একরত্তিকে বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বুধবার সদ্যোজাতকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।