নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন দুই আগে থেকেই এলাকার পারা চড়ছিল। তার জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিলই। শনিবার সকালে তার জেরেই ঘটে গেল হামলার ঘটনা। চলল গুলি(Shootout)। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে চলে কোপানোর পালা। শনিবার সাত সকালে কলকাতার(Kolkata) তিলজলার বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় আহত ২জনের ১জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দুইজনকেই কলকাতার ন্যশানাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পুলিশ(Police) এখনও সরকারি ভাবে গুলি চলার কথা স্বীকার করেনি। তবে তাঁরা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছেন অভিযুক্তদের(Goons) সন্ধান পেতে।
শনিবার সকাল সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তিলজলার(Tiljala) তাড়িখানা রোড এলাকায় রাজু রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাজার সেরে ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা জীবত রায় এবং তার ভাইয়েরা রাজুর পথ আটকায়। কথা কাটাকাটি হয়। বচসা মেটাতে আসরে নামেন রাজুর বাবা ডাবলু রায়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে তিন রাউন্ড গুলি চলে। তাতেই রাজু জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে সে। রাজুর বাবাও জখম হন। দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার খবর তিলজলা থানায় গেলে ডিসি (এসিডি)-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে জীবত এবং তার ভাইয়ের এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলে প্রথমে জানা যায়।
যদিও পরে জানা যায় তারা এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছে। সেই খবর পেয়েই পুলিশ তাদের ধরতে ওই এলাকায় গেলে কার্যত ফিল্মি কায়দায় একের পর এক ছাদ টপকে পালাতে দেখা যায় অভিযুক্তদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অভিযুক্ত জীবত এবং তার ভাইদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যু্ক্ত। বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে আগেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। তবে ঠিক কী কারণে রাজু রায়ের ওপর হামলা চালাল তারা, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তবে অভিযুক্তদের ধরা পড়ার কোনও খবর নেই এখনও।