নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈঠক হয়েছিল আগেও। হল এদিনও। তাতেই বার হল চাকরির জন্য নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার Deadline। নজরে SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী(Education Minster of Bengal) ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu) বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে SLST চাকরিপ্রার্থীদের(SLST Job Aspirants) প্রতিনিধিরা জানালেন, ‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার মধ্যেই রাজ্য সরকার দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি যাব।’ বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের শুভ্যানুধায়ী হিসাবে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষও(Kunal Ghosh)। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ জট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দিনক্ষণ পাঁজি ধরে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে চাকরিপ্রার্থীরা একটা সম্ভাব্য তারিখ জানতে চেয়েছিলেন। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।’
এদিন সল্টলেকের বিকাশ ভবনে SLST চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ব্রাত্য। সেখানে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কর্তারাও। দু’তরফের আলোচনা শেষে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ জট কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মেধার নিরিখে যারা নিয়োগের যোগ্য তাঁদের বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। সূত্রের খবর যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতি ইতিমধ্যে প্রমাণিত, তাই যোগ্যপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবি ওঠে বৈঠকে। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জানান শিক্ষা দফতরের কর্তারাও। তবে যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধিন তাই আইনি পথেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের।
বৈঠক শেষে কুণাল জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়োগ জট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতরকম মামলা সংক্রান্ত জটিলতা, তাতে ওইভাবে দিনক্ষণ পাঁজি ধরে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে চাকরিপ্রার্থীরা একটা সম্ভাব্য তারিখ জানতে চেয়েছিলেন। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নতুন করে আর কোনও আইনি জটিলতা তৈরি না হলে আশা করছি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি শেষ হতে পারে। এই চাকরি প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়ে কর্মপ্রার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলে এক শ্রেণির আইনজীবী লক্ষ লক্ষ কোটি কোটা টাকা নিচ্ছেন। চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। তাই নানা ভাবে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।’