নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গল সকালে বিজেপির তৃতীয় ধাক্কা। এবারেও সেই ধাক্কা এল আদালতের তরফেই। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিল করার দাবি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই আবেদনের জেরে এদিন শুনানির পরে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মুকুলের বিধায়ক পদ থাকবে কী থাকবে না বা তিনি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন কী থাকবেন না সে বিষয়ে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না। ৭ অক্টোবরের মধ্যে অধ্যক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে বা তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলে তারপর আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টে যে আবেদন করেছেন সেখানে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখও করা হয়েছিল। মামলাকারী হিসাবে শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরের একটি মামলার ক্ষেত্রে জানিয়েছিল কোন বিধায়ক দলত্যাগ করলে সেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে ৩ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ওই বিধায়কের বিধায়ক পদ থাকবে কী থাকবে না। মুকুল রায় মে মাসেই বিজেপি ছেড়েছেন, তাই তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করা হোক। শুভেন্দু এই আবেদন করলেও সাংবিধানিক ভাবে এই বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকেই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া আছে। মুকুলের বিধায়ক পদ যাবে কী থাকবে তা নিয়ে এদিন আদালতও তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন সত্ত্বেও তাই আদালত সময় বেঁধে দিয়ে মুকুলের বল ঠেলে পাঠিয়েছেন অধ্যক্ষের কোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে অধ্যক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ থাকবে কী থাকবে না, তিনি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান থাকবে কী থাকবে না।