নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুকাল যাবত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। কিন্তু দীর্ঘদিন অভিনয় জগত তথা সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রূপা গাঙ্গুলি। কিন্তু তাঁর মনে বিন্দুমাত্র সংস্কৃতি বোধ বা শিষ্টাচার নেই বললেই চলে। রাজনীতির কারণে সৌজন্যতা বোধ হারিয়েছেন বহু কাল আগেই। এবার নূন্যতম বিবেক বোধটাও হয়ত জলাঞ্জলি দিয়েছেন রূপা। অন্তত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা মন্তব্যের ভিত্তিতে এটাই মনে হচ্ছে নেট নাগরিকদের। দীপাবলির দিন বাংলার রাজনীতির আকাশে হয়েছে নক্ষত্রপতন। বৃহস্পতিবার রাত ৯.২২ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর সেই সময়ই বিতর্কিত পোস্ট করেন বিজেপি নেত্রী।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, (যদিও এই মুহূর্তে ডট কম এই পোস্টের সত্যতা ও প্রোফাইলের ভেরিফিকেশন করেনি), ‘ধ্যাৎ, সবাই যেন হঠাৎ Ballygunje- এ একা হয়ে গেলো, Sorry boss’ সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপার ‘রুচি’ ও ‘ভাষা জ্ঞান’ নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ রূপার এহেন মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। ঠিক ১৫ ঘণ্টা আগে এই ফেসবুক পোস্ট করেছেন বিজেপি নেত্রী। আর তাঁর এই পোস্টে কেউ পাশে দাঁড়ানো তো তীব্র কটাক্ষ ও সমালোচনা করেছেন নেট নাগরিকরা। বাংলার রাজনীতির আকাশে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর দিনে এই মনোভাব দেখে কটাক্ষ করে অনেকে। যদিও থেমে না থেকেই রূপা গাঙ্গুলি লিখেই গিয়েছে নানা বক্তব্য। কখনও বলেছেন, ‘তিস্তাকে নিয়েছ বস্। কিছু তো ফেরত নেবে মা কালী।’ ‘পুজো ঝকমক করা আর টাকা তোলা ছাড়া যাঁর কোনও অবদান ছিল না, তার জন্য আমার কোনও সম্মান নেই।’ এছাড়াও বহু নিম্নরুচির মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেত্রী।
যদিও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্ত থেকে একাধিক নেতারা সমবেদনা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে রবীন্দ্র সদন কিংবা বিধানসভায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁরা। কিন্তু দলেরই বিপরীত পথে হেঁটে নিজেকে মহান দেখানোর ‘নিম্নরুচির’ প্রচেষ্টা করে সমালোচিত ‘দ্রৌপদী’।