নিজস্ব প্রতিনিধি: এদিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে বাংলার ২২টি জেলায় চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ভোট গ্রহণের পালা। সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ এই নির্বাচনের তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। কিন্তু এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal State Election Commission) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় এদিন সকালে কিছুটা হলেও কম ভোট পড়ছে(Voting Percentage)। এদিন সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণের পালা শুরু হয়। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। সেবার প্রথম ২ ঘন্টায় ভোট পড়েছিল ১২.২ শতাংশ। এদিন প্রথম ২ ঘন্টায় ভোট পড়েছে ১০.২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ২ শতাংশ কম। আবার ২০১৮ সালে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ২৬.২৮ শতাংশ। এদিন সেখানে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৪.২৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২ শতাংশ কম পড়েছে ২০১৮ সালের তুলনায়। দেখার বিষয় এদিন বেলা গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে ভোট প্রদানের হার বাড়ে কিনা।
আরও পড়ুন একের পর এক তৃণমূলকর্মী খুন, কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
প্রথম চার ঘণ্টায় যে ভোট পড়েছে তা অনেক নয়, আবার কমও নয়। বহু জায়গায় ব্যালট পেপার ছিনতাই, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বুথ দখলের চেনা ঘটনা ঘটেছে। শনিবার যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদেই জোড়া খুন হয়েছে। রেজিনগর এবং খড়গ্রামে দুই তৃণমূল(TMC) কর্মী খুন হয়েছেন। নদিয়ার চাপড়ায় প্রাণ গিয়েছে শাসকদলের কর্মীর। আর এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের মানিকচকে। কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভার ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটেরহাট ৩৮ নম্বর বুথের মধ্যেই বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মাধব বিশ্বাস নামে এক বিজেপি(BJP) এজেন্টের। বিরোধীরা যেমন হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তেমন তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, একের পর এক তাঁদের কর্মীর মৃত্যুতেই স্পষ্ট, কারা হিংসাশ্রয়ী নির্বাচন করছে। ভোট শেষ হতে আরও ছ’ঘণ্টা বাকি। আরও কী কী অপেক্ষা করে আছে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।