নিজস্ব প্রতিনিধি: সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালীদের কাছে আবেগ। বাঙালিদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে, আর দুটো দিনই ফেব্রুয়ারি মাসে পড়ে। অন্যবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে আর সরস্বতী পুজো আলাদা আলাদা দিনে পড়লেও এবার তা হয়নি। একই দিনে সরস্বতী পুজো এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেলিব্রেশন করবেন সবাই। তবে সরস্বতী পুজো মানেই স্কুল কলেজে বেশি আনন্দ, যেহেতু বিদ্যার দেবী হলেন সরস্বতী দেবী। তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেই সরস্বতী পুজোর দিনটা আলাদাই বার্তা এনে দেয়। স্কুল-কলেজ ছাড়াও হিন্দু ধর্মে বসন্ত পঞ্চমীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতিটি বাঙালি পরিবারে এদিন সকাল থেকেই বাগদেবীর আরাধনা চলে। পড়াশোনা এবং শিক্ষার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তারা প্রায় প্রত্যেকেই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করেন। প্রতিবছর মাঘের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতীর আরাধনায় লিপ্ত হন সকল বাঙালি। দেবী সরস্বতীর কৃপায় এদিন সবাই হলুদ রং-এর পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তবে দেবী সরস্বতীর বন্দনায় শুধু ফলমূল নয়, দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে বিশেষ ভোগ নিবেদন করুন সরস্বতীর চরণে। সেগুলি কী কী?
এক্ষেত্রে বেসনের লাড্ডু দেবী সরস্বতীকে ভোগে নিবেদন করতে পারেন। তাতে মা সরস্বতী প্রসন্ন হবেন এবং ঘরে শোক সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। হলুদ রঙের পোলাও বানিয়ে দেবী সরস্বতীকে নিবেদন করতে পারেন। এতে জীবনে ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পাবে। তবে শিক্ষা ও চাকরিতে উন্নতি করতে চাইলে সরস্বতী পুজোর দিন খিচুড়ি এবং পাঁচ ধরনের ভাজা সরস্বতীকে নিবেদন করতে একদম ভুলবেন না। কারণ খিচুড়ি ভোগ মা সরস্বতীর খুব পছন্দের। এছাড়াও সঙ্গে কেসরের হালুয়া অথবা সুজি কেশর দিয়ে বানিয়ে বানিয়ে মাকে নিবেদন করতে পারেন। তাতে জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং সুখ বজায় থাকবে।