এই মুহূর্তে




 সম্রাট কণিষ্ক পুজো করতেন এই শিবলিঙ্গের, জেনে নিন ইতিহাস




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায়: সারা ভারত জুড়েই দেবাদিদেব মহাদেবের অসংখ্য মন্দির রয়েছে। আর সেই মন্দিরগুলির মাহাত্ম্যও নেহাত কম নয়। দেবাদিদেব মহাদেব আদি ও অনন্ত হলেও তিনি খালি বেল পাতা ও জলেই সন্তুষ্ট। মনে করা হয়, প্রতি সোমবার মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে তাঁকে পুজো করলে তিনি তুষ্ট হন ও ভক্তের ওপর প্রসন্ন হন। সেই বিশ্বাসে ভর করেই বর্ধমানের আলমগঞ্জে মোটা শিব তলায় প্রায় প্রতি সোমবারই ভক্তদের ঢল লেগে থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন শিবের মাথায় জল ঢালতে ভিড় করেন ভক্তরা, পাশাপাশি রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকেও মানুষ এই ঐতিহাসিক শিব মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।

জনশ্রুতি আছে, সরকারি নির্দেশে ১৯৭২ সালে বর্ধমানের আলমগঞ্জ এলাকায় মাটি কাটার কাজ চলছিল। হঠাৎই এক শ্রমিকের গাঁইতির আঘাত লাগে এক বিশাল কালো পাথরের উপর। এরপর সরকারি তত্ত্বাবধানে সেই পাথর মাটির তলা থেকে তোলা হয়। দেখা যায় সেই পাথর আসলে একটি বিশাল শিবলিঙ্গ। এমনও শোনা যায় যে, সে সময় ক্রেন দিয়ে শিবলিঙ্গটি তোলার সময় শিবলিঙ্গের ভারে চেনও ছিঁড়ে গিয়েছিল। তারপর সেই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পুরাতত্ত্ব বিভাগ শিবলিঙ্গটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, শিবলিঙ্গটি আনুমানিক ১৭০০ বছরের প্রাচীন কুষাণ যুগের। কথিত আছে, রাজা কণিষ্ক এই শিবলিঙ্গ পুজো করতেন।জানা যায়, সম্রাট কণিষ্ক ধর্মগত দিক দিয়ে বৌদ্ধ হলেও তিনি শিবভক্ত ছিলেন।

এই শিবলিঙ্গ খুব চওড়া বলে স্থানীয়রা এই শিবকে “মোটা শিব” বলে থাকেন। বর্ধমানের বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ  সুবোধ মুখোপাধ্যায় এই শিবলিঙ্গের নামকরণ করেছিলেন “বর্ধমানেশ্বর”। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানতে পারা যায় যে, কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন কনিষ্ক। তাঁর আমলেই সারণাথ, অমরাবতী, মথুরা ইত্যাদি অঞ্চলে নিখাত ভারতীয় শিল্পের একের পর এক নিদর্শন তৈরি হয়। সে সময় কণিষ্কের রাজধানী ছিল পুরুষপুর। ঐতিহাসিকদের মতে  আনুমানিক ১৭০০ বছর পূর্বে রাজা কণিষ্ক প্রায় ১৩ টনের একটি বিশাল কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ পূজা করতেন। ইতিহাসের কালচক্রে পরবর্তীকালে কুষাণ বংশ ধ্বংস হয় ও এক সর্বগ্রাসী বন্যায় এই শিবলিঙ্গ জলের তোরে ভেসে যায়। তারপর ১৯৭২ সালে  বর্ধমানের আলমগঞ্জ এলাকায় পুনরায় আবির্ভুত হন এই মহেশ্বর। প্রতি বছর শিবরাত্রি ও শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে দূর দূরান্ত থেকে আসা অগণিত ভক্তপ্রাণ মানুষের ব্যাপক ভিড় হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে বাস করেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব আর, তাই ভক্তরা এসে নানা মনস্কামনা জানান এই মন্দিরে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজস্থানে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার

নিউটাউনে জনবহুল এলাকার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ

বহরমপুরে ভাগিরথী নদী থেকে নিখোঁজ নার্সের দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা

জানেন কি, বিশ্বকর্মার হাতে হাতুড়ি ও দাঁড়িপাল্লা থাকে কেন ?

রাজ্যের সব Smart Panchayat’র সব বাড়ি পাবে Unique Identification Number

জেগে ওঠবে ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর! গিলে খাবে অন্ধকার! জেনে নিন কী ঘটবে কলিযুগের শেষে ?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর