এই মুহূর্তে




বিশ্বের সর্বোচ্চ ও এশিয়ার দীর্ঘতম জোজিলা টানেল শেষ হলে সহজেই লাদাখ




নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় ১১,৫৭৫ ফুট উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে টানেল। ইঞ্জিনিয়ারিং দিক থেকে দেখতে গেলে সবথেকে কঠিন একটি প্রকল্প। কারণ এই দ্বিমুখী টানেল তৈরি হচ্ছে জোজিলা পাসে (Zojila Tunnel)। এই গিরিবর্ত্ম বিশ্বের অন্যতম উঁচু মোটরপথ। তবে শীতের সময় প্রায় ৬ মাস এই পথ বন্ধ থাকে পুরু বরফে ঢাকা পড়ে যাওয়ায়। জোজিলা পাস ( (Zojila Pass) বন্ধ থাকায় শ্রীনগর ও লাদাখের মধ্যে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়। তাই এই রাস্তায় একটি টানেল তৈরির উদ্যোগ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। যার কাজ চলছে জোর কদমে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী বছরের মধ্যেই জোজিলা টানেলের কাজ শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।

শ্রীনগর-লে ১ডি জাতীয় সড়কে ১১,৫৭৫ ফুট উচ্চতায় জোজিলা পাসের নীচ দিয়ে এই দ্বিমুখী টানেল তৈরি হচ্ছে। যা দৈর্ঘ্যে ১৪ কিলোমিটার। দুই লেনের এই টানেল তৈরি হলে তা হবে বিশ্বের এক বিস্ময়। এটি বিশ্বের উচ্চতম টানেল হতে চলেছে পাশাপাশি এটি হবে এশিয়ার দীর্ঘতম টানেল। আবার সামরিক গুরুত্বের দিক থেকে এই জোজিলা টানেল হবে খুবই সংবেদনশীল। কারণ একদিকে পাকিস্তান ও অন্যদিকে চিনের সীমান্ত থাকায় সারা বছরই এই পথে সামরিক গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে এই টানেল তৈরি হলে।

শ্রীনগর থেকে লাদাখের রাজধানী লে পর্যন্ত রাস্তায় মোট ৩১টি ছোট-বড় টানেল বা সুরঙ্গ পথ তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে সারা বছরই এই সড়কপথ চালু থাকে। এরমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে তৈরি হচ্ছে ২০টি টানেল, যার মোট দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে তৈরি হচ্ছে ১১টি টানেল, যার মোট দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এই ৩১টি টানেলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জোজিলা টানেল এরমধ্যে সবচেয়ে লম্বা। যা তৈরি হচ্ছে কাশ্মীরের বালতাল এবং লাদাখের মিনামার্গের মধ্যে। এটি তৈরি হলে দুর্গম জোজিলা গিরিবর্ত্মকে বাইপাস করে সোনামার্গ থেকে লে পৌঁছে যাবে যে কোনও গাড়ি।

জোজিলা টানেলের আগে জাতীয় সড়কে আরও একটি বড় টানেলের কাজ চলছে। সেটি হল ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ জেড-মোড় টানেল (Z-Morh Tunnel)। এটি তৈরি হচ্ছে সোনামার্গ ও গগনগীরের মধ্যে। কার্গিল ও লাদাখের মধ্যে সমস্ত আবহাওয়া পরিস্থিতিতে চলাচলকারী এই টানেলগুলি তৈরি হলেই লাদাখের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেড়ে যাবে। প্রথমে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল সমস্ত প্রকল্প শেষ হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরি এই প্রকল্প ঘুরে দেখেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই জোজিলা টানেল-সহ কয়েকটি টানেলের কাজ দ্রুত করতে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নাবালিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গমের সময় আচমকাই হার্ট অ্যাটাক, শেষ হয়ে গেল জীবন

জগদ্ধাত্রীর পদতলে হস্তিমুণ্ড, জানেন কী হাতির কাটা মুণ্ড আসলে কে ?

চন্দননগর নয়, তবে কোথা থেকে হয়েছে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা ?

জীবন নিয়ে খেলা! বাজি ধরে আতশবাজির প্যাকেটের উপরে বসার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন যুবক

আচমকাই হানা মৃত্যুদূতের, খেলতে খেলতে মাথায় বাজ পড়ে মাঠেই মৃত্যু ফুটবলারের

হায় রে বাংলাদেশ! ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত চিকি‍ৎসক

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর