এই মুহূর্তে




হিন্দুত্বের ছোঁয়া! নজরুলের ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দিল মোল্লা ইউনূসের সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ক্রমশই বাড়ছে মৌলবাদীদের দাপট। আর সেই দাপটের কাছে নতিস্বীকার করে চলেছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। দেশ থেকে হিন্দুত্বের ছোঁয়া মুছে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম হোতা। হিন্দুত্বের ছোঁয়া থাকায় এবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য। বিষয়টি জানাজানি হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকীর বক্তব্য, ‘বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ। তাই ভাস্কর্যটি গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা জমানা বদলের পরেই মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের জমানায় নখদাঁত বের করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জঙ্গি ও মৌলবাদীরা। তাদের কুনজর পড়েছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ ভবন এবং পুরাতন কলা অনুষদ ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় থাকা ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্যটির দিকে। ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছিল জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এনসিপি সহ একাধিক মৌলবাদী সংগঠন। হাসিনা জমানায় প্রাক্তন উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের উদ্যোগেই ভাস্কর্যটি বসানো হয়েছিল। দেশের প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিচালক, নৃত্য প্রশিক্ষক ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদের হাতের ছবি থেকে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর মণীন্দ্র পাল। একজন নারী দু’হাত সংযুক্ত করে অঞ্জলি দিচ্ছে, ম্যুরালটি সেই ভাবনা বহন করছিল।

সমাজমাধ্যমে ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্যটি ভাঙার ছবি প্রকাশ করে মুনমুন আহমেদ লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক, এই মুহূর্তে সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যুরাল ‘অঞ্জলি লহ মোর’! যেটি আমার হাতের ছবি থেকে করা হয়েছিল। এটি ভাস্কর্যবিদ মণীন্দ্র পাল করেছিলেন।’ সেই পোস্টের কমেন্ট ঘরে সঙ্গীতশিল্পী-অভিনেতা পান্থ কানাই লিখেছেন, ‘থামাবে তো পরের কথা, কেউ প্রতিবাদও করবে না। দেখেন সব সেলিব্রিটি চিল্পিরা চুপ মাইরা গেছে। দেখেন দেখেন।’ একজন জানতে চেয়েছেন, ‘কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে?’ সেই প্রশ্নের জবাবে মুনমুন লিখেছেন, ‘দেশে কোন ভাস্কর্য থাকতে দেওয়া হবে না!’

এক নেটা নাগরিক ক্ষোভ উগরে লিখেছেন, ‘কি যে শুরু করেছে! এদেশের ইতিহাস শিল্প সংস্কৃতি সব ধ্বংস করে ফেলছে একদল মানুষরূপী দানব। ঘৃণা জানানোর কোনও ভাষা নেই।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক এবং ক্ষুব্ধ’।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভারতের নির্বাচন কমিশনকে কালো তালিকাভুক্ত করল ইউনূস সরকার

ফাঁকা ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণের পর ছুঁড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের সামনে, নারকীয় ঘটনা হরিয়ানায়

 মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ মোল্লা ইউনূসের

কালের ন্যায়চক্রে শ্রীরামের পূর্বপুরুষকে হত্যা করার ফলই পেতে হয়েছিল রাবণকে

ডাইনি অপবাদে পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন

ক্ষমতায় বিএনপিকে চান বাংলাদেশের ৩৯ শতাংশ তরুণ, বলছে জনমত সমীক্ষা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ