নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদ হানা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। চলছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুসরণ করে সংসদ হানার দায় কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলছেন বিজেপির আধুলি-সিকি গোছের নেতারাও। পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এলো বিস্ফোরক তথ্য। মোদি সরকারের কল্যাণে গত ৪৫ জন দিন ফাঁকা পড়ে রয়েছে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা প্রধানের পদ। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও ৪০ শতাংশের মতো কম কর্মী নিয়ে চলছে কাজ। আর ওই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সংসদ ভবনের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা যুগ্মসচিব (নিরাপত্তা) পদটি ৪৫ দিন ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে। গত নভেম্বর মাসের শুরুতেই নিজের হোম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক পদে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন যুগ্মসচিব (নিরাপত্তা) রঘুবীর লাল। তাঁর পরিবর্তে সাময়িকভাবে নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক ব্রিজেশ সিং। তাছাড়া যতজন নিরাপত্তা রক্ষীর প্রয়োজন তার চেয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ কর্মী কম রয়েছেন। বর্তমানে ২৩০ জন কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।’
নয়া সংসদ ভবনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে সরকারের শীর্ষ মহল। কিন্তু যন্ত্র যে কখনও মানুষের বিকল্প হতে পারে না, তা বহুবার বলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। এমনকি উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে সংসদ ভবন পরিচালনার ক্ষেত্রে বার্ষিক বাজেট কাটছাঁট করেছে মোদি সরকার। প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ সংসদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে অবহেলা করে চলেছে মোদি সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই সংসদ হানা নিয়ে নিজেদের পোষ্য সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে গাজাখুরি গল্প বাজারে ছড়াচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।’