নিজস্ব প্রতিনিধি: ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন বছর পচিশের তরুণী। সেই লজ্জা ঢাকতে গিয়ে আরও বড় বিপদে পড়লেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ওই নির্যাতিতা। ইউটিউব দেখে তিনি নিজের গর্ভপাত করার চেষ্টা করেছিলেন। আর তাতেই প্রাণ সংশয় তৈরি হয়েছে ওই নির্যাতিতার, আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেব খানকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২০১৬ সালে সোহেব খানের আলাপ হয়েছিল নির্যাতিতা তরুণীর। দু’জনের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন ওই যুবক। কিন্তু বিয়ে করতে গড়িমসি করছিল সে। সমস্য়া জটিল আকার ধারণ করে সম্প্রতি ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে। অভিযোগ, এই খবর পাওয়ার পর থেকেই ওই তরুণীকে গর্ভপাত করার ব্যাপারে জোর দিতে থাকে অভিযুক্ত। এমনকি বেশ কয়েকটি ওষুধও খাইয়েছিল সোহেব। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় চরম পদক্ষেপ নেয় নির্যাতিতা।
ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে নাগপুরের যশধরা নগরে বাড়িতেই গর্ভপাতের চেষ্টা করে সে। তাতেই ঘটে যায় চরম বিপত্তি। গুরুতর আহত হন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থা ওই তরুণীর। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর পরিবার। সোমবার পুলিশ অভিযুক্ত সোহেব খানকে গ্রেফতার করেছে।