নিজস্ব প্রতিনিধি, পুণে: একদল আগেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। অন্য দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে। প্রথম দল হল অস্ট্রেলিয়া। আর দ্বিতীয় দল হল বাংলাদেশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। তবে শক্তির নিরিখে টাইগারদের চেয়ে অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে অজিরা।
শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেওয়ায় বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় শেষের দিকে অনেকটাই হেরফের হয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় শেষ চারে থাকা ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস- সবার পয়েন্ট চার। তবে নেট রানে সাতে রয়েছেন জস বাটলাররা। আটে টাইগাররা। নয়ে শ্রীলঙ্কা ও দশে নেদারল্যান্ডস। চার দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে দুই দল। শ্রীলঙ্কা সব কয়টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। বাকি তিন দলের একটি করে ম্যাচ রয়েছে। তিন দলের কাছেই শেষ ম্যাচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আজ শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যদি জেতে তাহলে পয়েন্টের নিরিখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলেও সুবিধা টাইগারদের। তবে হেরে গেলে মহাবিপদ। সেক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকতে গেলে অস্ট্রেলিয়া যদি প্রথমে ব্যাট করে ৩৬০ রান করে, তাহলে বাংলাদেশকে কমপক্ষে ২০০ রান করতে হবে। অর্থাৎ হারের ব্যবধানটা ১৬০ রানের বেশি হহবে না। আর বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে যদি ২০০ রান করে, তাহলে অজিদের সেটা ২৩ ওভারের আগে তাড়া করতে দেওয়া যাবে না। এই সমীকরণ কোনও কারণে ভেস্তে গেলে ছিটকে যেতে হবে টাইগারদের।
তবে অতীতের পরিসংখ্যান বলছে একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে বাংলাদেশ। মোট ২১ বার দু’দল মুখোমুখি হয়েছে। ১৯ বার জিতেছে অজিরা। এক বার জিতেছে টাইগাররা। একটি ম্যাচে কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। বিশ্বকাপের আসরে মোট চার বার দেখা হয়েছে দু’দলের। তিনবার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। গতবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৪৮ রানে হারিয়েছিলেন প্যাট কামিংসরা।