নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বিজেপি নেত্রী। এবারে আবার বিজেপির কোর কমিটিতে নাম ঢুকেছে তাঁর। অন্যদিকে ‘ঠোঁটকাটা’ রূপা গাঙ্গুলী বাদ পড়েছেন সেই কমিটি থেকে। এর আগের বার বিজেপির ‘মহামিছিল’ কর্মসূচির প্রথম দিকেই ‘ভালো’ হয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়েছিলেন তিনি। যেন ‘বাধ্য’। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরেই উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। গেরুয়া শিবিরের একাংশের কটাক্ষ ছিল, আন্দোলন থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি বিরোধীরাও হেসে সমালোচনা করতে ছাড়েননি। আন্দোলনে নামলেও প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। একটু হেঁটেই পুলিশের সঙ্গে সামান্য ‘তর্ক’ করে সোজা উঠেছিলেন প্রিজন ভ্যানে। সেই ‘বদনাম’ মেটাতেই এবার তিনি বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হলেন।
উল্লেখ্য, আগের বার বিজেপির নবান্ন অভিযান শুধুমাত্র পদযাত্রা ছিল না। কার্যত গুণ্ডামি চলেছিল। পুলিশকে ইট-পাথর-বোতল ছোড়া থেকে পুলিশকে মার এমনকি একাধিক দোকান-পুলিশ কিয়স্ক-পুলিশের গাড়িতেও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর যখন নবান্ন অভিযান ছিল তখন অবশ্য অগ্নিমিত্রা (AGNIMITRA PAUL) কোর কমিটিতে ছিলেন না। আর কোর কমিটিতে নাম উঠতেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করলেন ‘দাপুটে’ নেত্রী হিসেবে। এদিন দেখা গেল নট ইনক্লুডেডদের সমর্থনে আন্দোলনে এগিয়ে এসেছেন তিনি। এমনকি বসেও পড়েন বিজেপির বিক্ষোভস্থলে। আর তাঁর এই কাজকে ঘিরেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, নেত্রী যদি এতই প্রতিবাদী তো আগের বারে ‘মাঠ’ ছেড়ে ‘পালিয়ে’ গিয়েছিলেন কেন? না কি ‘কোর কমিটি’তে ঢোকার পরে নিজেকে ‘প্রমাণ’ করতে চাইছেন? তার আগে ‘দায়’ ছিল না! প্রসঙ্গত, বিজেপি এদিন যত না টেট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের হয়ে আন্দোলন করল, তার চেয়ে অনেক বেশি জড়াল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে। যত না টেট প্রসঙ্গে আন্দোলন করল, তার চেয়ে বিজেপি নেত্রী বেশি বললেন, ‘আমরা এলে আমরা চাকরি দেব’। নট ইনক্লুডেডদের একাংশের বক্তব্য, বিজেপি’র ক্যাম্পেইন করার জায়গা নয় এটা। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের ইস্যুকে বিজেপি হাতিয়ার করতে চাইছে’।
অন্যদিকে বিজেপি শিবিরে গুঞ্জন রূপা গাঙ্গুলীকে সরানো হলো কেন? তিনি ঠোঁটকাটা বলেই কি? না কি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তিনি নিজেই বাড়িয়েছেন?
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়ুন: https://www.eimuhurte.com/state/detained-suvendu-adhikary-at-pts/