নিজস্ব প্রতিনিধি: গুরু নানক জন্মজয়ন্তীতে আচমকাই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে এসে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দেন, তিন কালা কৃষি আইন বাতিল। যাতে দেশে উচ্ছ্বাস এলেও বিজেপির এই আইন বাতিলের উদ্দেশ্যে পরিস্কার হয়ে যায়। সকলেই বুঝতে পারেন বাংলার পর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে ধাক্কা খেলে দিল্লির মসন্দ হাতছাড়া হবেই। তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। আচমকাই এই আইন বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকেই দুষেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই আইন বাতিল আদপে প্রধানমন্ত্রীর পাতা ফাঁদ বলেই মনে করছেন কেষ্ট মণ্ডল। তাই সকলকেই সেই পাতা ফাঁদে পা না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
শুক্রবার বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শুধু কৃষি আইন কেন, অনেক কিছুই পাল্টাবে। দেশটাকে শেষ করে দিল। ৬০০ কৃষকের মৃত্যু। কৃষকরা এখনও রাজপথে রয়েছেন। সেই সমস্ত ভদ্রলোকদের আমি বলব, ভারতবর্ষের মানুষকে আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রীর ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে। এখন একটাই স্লোগান–বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। আসলে সামনে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইছে প্রধানমন্ত্রী। এখনি ক্ষমা চাইছে? ২০২৪–এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, গোল নিতে পারবে না।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সামনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আছে। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে। এতদিন যা মন চেয়েছে, তাই করেছে। সংসদে আলোচনার ক্ষমতা নেই, অর্ডিন্যান্স জারি করে বিল পাস করছে। ঝামেলা করেছে। কৃষি বিল নিয়ে কৃষকরা অনড় ছিল। বিজেপি সরকারের ধক কই? কেন প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষি বিল তুলল? প্রধানমন্ত্রী বলেছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না। আসলে বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মমতা ব্যানার্জীকে সবাই মডেল করছে। ২০২১ সালে মমতা ব্যানার্জী দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে ভোট করতে হয়, সমস্ত মানুষের জন্য উন্নয়নও সমানভাবে করে গিয়েছেন। তার দেখানো পথই দেশের অন্যান্য রাজ্যের নেতারা ফলো করছে। ভয় পেয়েছে বিজেপি।’