নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা : সম্প্রতি ১১ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য আবারও বাংলার পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চব্বিশের লোকসভার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনটা ছিল শাসক-বিরোধীদের কাছে একটা প্রেসটিজ ফাইট। ফাইনাল খেলার আগেই ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে নিজেদের দাপট ধরে রাখল ঘাসফুল শিবির।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ রাজ্য জুড়ে অশান্তি ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন শাসকদলের কর্মী।
মুখ্যমন্ত্রী সবসময় বলেন, কর্মীরাই দলের সম্পদ। তাই, তাঁর সহযোদ্ধাদের হারানোর ব্যথা আজও তাঁর মনে তাজা হয়ে রয়েছে। শাসকদলকে নিশানা করতে গিয়ে বিরোধীরা খুনের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে দেখে, ভয় পেয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করে তুলছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার অর্জুনপুরে সিপিএমের দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মৈমুর ঘরামী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন নিহত ব্যক্তিদের পাশে থাকবেন।
সেই নির্দেশ মেনে এবার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার অর্জুনপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মৈমুর ঘরামীর ময়নার বাড়িতে গেলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার।
মৃতের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।