নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার (BHARAT JODO YATRA) শুরুতেই কংগ্রেস আহ্বান জানিয়েছিল তৃণমূলকে। সাড়া দেয়নি সবুজ শিবির। সমমনোভাবাপন্ন সমস্ত দলকেই আহ্বান জানাচ্ছে কংগ্রেস। বাংলায় ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা উপলক্ষ্যে বামপন্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাকেই কটাক্ষ করছে তৃণমূল।
বাংলার কংগ্রেস তাদের কর্মসূচিতে আহ্বান জানিয়েছে বামপন্থীদের। তবে বামেদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই রাজ্যে বাম- কংগ্রেস জোটের নজির আছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সমমনোভাবাপন্ন দলকে আমন্ত্রণ করার কথা। বামপন্থী এবং ডানপন্থী কী করে সমমনোভাবাপন্ন হতে পারে? নীতি ছাড়াই বাম- কংগ্রেস জোট আগেই হয়েছিল, বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ বিভিন্ন বামদলকে আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস। কাকদ্বীপ থেকে কার্শিয়াঙ যাত্রার সময়ে বাম নেতাদের শেষদিনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠি দিয়েছেন অধীর। তবে বামদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধীর চৌধুরী চিঠি পাঠাননি সবুজ শিবিরে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আমন্ত্রণ জানালেও যাওয়া হত না। উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এর আগে প্রশংসা করেছিলেন রাহুল গান্ধির। প্রশংসা না করলেও ‘ভালো’ বলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন বামকে বাংলার কংগ্রেসের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কুণাল বলেন, কংগ্রেস প্রায় সিপিএমের কোলে উঠে পড়েছে। বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বাংলায় দেখা যায় বাম-কংগ্রেস জোট। তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরায় এতদিনের রাজনৈতিক শত্রুতা ভুলেও ওরা জোট করেছে। ওদের অস্তিত্বই নেই।
বামেরা ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় যোগ দেবে কি না সেই সিদ্ধান্ত না নিলেও দেখা গিয়েছে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বাদশা মৈত্র, শ্রীলেখা মিত্র, মন্দাক্রান্তা সেন সহ অনেক বামপন্থীই বিভিন্ন সময়ে অংশ নিয়েছেন এই যাত্রায়।