নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের(Ramkrishna Paramhansdev) ১৮৭ তম জন্মতিথি। সেই কারনেই এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন মঠ ও আশ্রমে চলছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পুজার্চনা। এদিন বিশেষ পুজার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বেলুড় মঠের(Belur Math) পাশাপাশি কামারপুকুর(Kamarpukur), কাশিপুর, বরানগরের মঠেও। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোভিডবিধি(Covid Rules) মেনেই পূজার্চনার(Puja) ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বিধি মেনেই চলেছে দর্শন, পূজন, প্রসাদ বিতরণ। এদিন সকাল থেকেই বেলুড়মঠে সকাল থেকে আসছেন ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা। ভোরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ এরপর সারাদিন ধরেই চলছে বিশেষ পূজাপাঠ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান৷ কোভিডকালে যেহেতু মূল মঠে ঢোকার ছাড়পত্র থাকছে না তাই এদিন মঠে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনলাইনে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি হুগলি জেলার কামারপুকুরে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মস্থানেও জন্মতিথি উৎসব পালন করা হচ্ছে। ভোর ৪টে থেকে এখানে এদিন শুরু হয় পুজোপাঠ, মঙ্গলারতি ও সংকীর্তন। মঠ চত্বরেই স্থানীয় স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তিনদিন ধরে চলবে সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে কোভিডের কারণে কিবা বেলুড়মঠ কিবা কামারপুকুর প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোভিড বিধি মেনে ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের ঢুকতে হচ্ছে। তবে এবার প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে দুটি ক্ষেত্রেই। সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রীদের পুস্তক ও লেখাপড়ার সামগ্রী বিতরণ করাও হয়েছে এদিন বেলুড়মঠ থেকে। বেশ কয়েক হাজার দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্রবিতরণ করা হয় কামারপুকুর থেকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই জায়গাতেই বেড়েছে ভক্তদের ভিড়।
এদিন বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দের জানিয়েছেন, এদিন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখা হয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভক্ত ও সাধারণের জন্য বেলুড়মঠ খোলা থাকছে। তবে আগামী ১৩ মার্চ, রবিবার সাধারণ উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে না। ওই দিন বেলুড়মঠ বন্ধ রাখা হবে। সাধারণত রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি উৎসবের এক সপ্তাহ পরের রবিবার সাধারণ উৎসব, একদিনের মেলা ও বাজি পোড়ানোর রেওয়াজ ছিল বেলুড়মঠে। কয়েক বছর আগে বাজি পোড়ানোর অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় মঠের অছি পরিষদের সিদ্ধান্তে। কিন্তু অতিমারির কারণে গত দু’বছর মেলা ও সাধারণ উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়নি। এবারও অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কায় মঠ কর্তৃপক্ষ মেলা ও সাধারণ উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে কামারপুকুরে এদিন সকালে স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসীরা এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন।