এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না পার্শ্বশিক্ষকেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার আর সুপ্রিম কোর্ট অবধি জল গড়াল না। খাস কলকাতা হাইকোর্টেই(Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Justice Abhijit Gangopadhay) দেওয়া রায় খারিজ করে দেওয়া হল। নজরে প্রাথমিকে শিক্ষক(Primary Teachers) নিয়োগের ঘটনা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত আসনে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের অংশগ্রহণের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে জানিয়েছে, দু’টি স্তরে শিক্ষাদানের পদ্ধতি ভিন্ন। তাই উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন না। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের চলতি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকরা।    

আরও পড়ুন সাত সকালেই দুর্ঘটনায় জীবন গেল ৩জনের

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন ২০১৬-র ৬(৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্তরে মোট শূন্যপদের ১০ শতাংশ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ, এই আসনগুলিতে প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকরাই আবেদনের যোগ্য। কিন্তু ওই সংরক্ষিত আসনে অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন উচ্চ প্রাথমিকের বেশ কয়েকজন পার্শ্বশিক্ষক। গত বছরের ২১ নভেম্বর সংরক্ষিত আসনগুলিতে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদেরও অংশগ্রহণের ছাড়পত্র দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিপ্লব ঠাকুর সহ অনান্যরা। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী এক্রামূল বারি। মামলায় তাঁর দাবি ছিল, প্রাথমিক স্তরে পার্শ্বশিক্ষকদের(Assistant Teacher of Upper Primary) নিয়োগ দিয়ে থাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ দেয় School Service Commission বা SSC। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন ২০১৬ অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ।

আরও পড়ুন

সেক্ষেত্রে আইনের ৬(৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে যত শূন্যপদ থাকবে, তার ১০ শতাংশ আসন শুধুমাত্র ওই স্তরেরই পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা। তাই SSC’র মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত পার্শ্বশিক্ষকরা সংরক্ষণের আওতায় আসতে পারেন না। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাগত পরিকাঠামোয় যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। তাছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম সংস্থান রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা অংশগ্রহণের যোগ্য হতে পারেন না। উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা অংশ নিতে পারবেন, কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে তা স্পষ্ট জানিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বিএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই এই স্তরে পড়ানোর যোগ্য। সেই রায়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এদিনের রায় বলে মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Per Day Income ৩-৪ কোটি, শাহজাহান কাণ্ডে দাবি CBI’র

পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রেফতার ৩

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর