নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশাসনিক কারণে শিক্ষক বদলিতে(Teachers Transfer) রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে জারি করা রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি বৈধ বলে জানিয়ে দিল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। তবে আদালত এটাও জানিয়ে দিয়েছে, সুসংহত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বদলি করতে হবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক প্রয়োজনে শিক্ষক বদলিতে আর কোনও বাধা রইল না রাজ্য সরকারের। গত মার্চ মাসে ৬০৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রশাসনিক বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল School Service Commission বা SSC-র তরফে। শুধু তাই নয়, SSC প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সুপারিশও পাঠিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কিছুজন বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বদলির আবেদনে স্থগিতাদেশ দেওয়া এবং তা খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন তাঁদের আর্জিই কার্যত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মোদি ও বিজেপিকে নিশানা মমতার
SSC’র প্রশাসনিক বদলির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে তা প্রথমে উঠেছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, বদলি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। বদলি নীতিতে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও জানতে চেয়েছিল আদালত। আগে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলির আবেদন করতে হত। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষক বদলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। এদিনের আদালতের রায়ের পরে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, স্কুল শিক্ষকদের বদলির জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা বলতে নিয়োগপত্র ইস্যু করা। SSC-র কাছে থাকা শিক্ষক এবং পড়ুয়া সংখ্যার অনুপাত এক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হয়। এরপর বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। SSC সেই মোতাবেক সুপারিশপত্র পাঠালে পর্ষদ শুধুমাত্র নিয়োগপত্র ইস্যু করে থাকে। কিন্তু সেই বদলির সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। এখন আদালতের রায় পরিষ্কার হয়ে গেল কমিশন ভুল কিছু করেনি।