নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তৃণমূল নেতাদের নাম করে ‘সন্দেশখালির মতো সোজা করার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার বদলে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ের নির্বাচনী পরিবেশ। বুধবার শুভেন্দুর দল ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিলেন ২৫০ জন কর্মী। তাদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন শওকত মোল্লা।
কি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? মঙ্গলবার বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। আর এই পদযাত্রা ক্যানিং বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের কার্যালয়ের সামনে যেতেই শুভেন্দু বলেন,’ সন্দেশখালির মতো সোজা করব ।‘ তাঁর এই বক্তব্যের পরেই প্রতিবাদ করা শুরু করে তৃণমূল।
বুধবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শওকাত, পরেশ, জয়নগর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল ক্যানিংয়ে সভা করে। আর এদিনের এই সভা থেকেই বিজেপিকে একের পর এক আক্রমণ করে তৃণমূলের নেতৃত্ব। শওকত বলেন,’গত ২ রা মার্চ খানে একটি যাত্রাপালা হয়েছিল। এই পালার নায়ক জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারী এবং খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতৃত্ব কাল আমাকে আর পরেশরাম দাসকে গ্রেফতার করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আমি বলি, জেলটা কি শিশির অধিকারী তৈরি করে দিয়েছেন যে, যখন খুশি যাকে তাকে জেলে পোরা যাবে! “ এদিনের এই বক্তব্যের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ২৫০ জন বিজেপি কর্মী।