নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূম(Birbhum) জেলার সাড়া জাগানো বকটুই কাণ্ডের(Boktui Massacre) ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত কামরুল শেখ ওরফে ছোট লালনের(Chotto Lalan) মৃত্যু হল ক্যান্সারে(Death due to Cancer)। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় তার নাম জড়িয়েছিল। সেউ সূত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI তাকে গ্রেফতারও করে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়েই সে ক্যানসারে ভুগছিল। সেই রোগভোগের জেরেই এবার মৃত্যু হল ছোট লালনের। মঙ্গলবার সকালে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন সময়েই ছোট লালনের মুখে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই রোগের চিকিৎসা করানোর জন্য মাস ২ আগে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ৩-৪ দিন আগে তাঁকে রামপুরহাটের বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই এদিন চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ছোট লালনের।
২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বকটুই গ্রামের মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। তদন্তে ভাদু শেখ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে ছোট লালনকে তাঁরা গ্রেফতারও করেন। ভাদু শেখ খুনের মামলার পাশাপাশি ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখকেও খুন করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল ছোট লালন। বকটুই হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ছিল ছোট লালনের দাদা লালন। সেই লালনেরও মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন। সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে লালনকে। সেই মামলা এখন বিচারধীন। তদন্তে গঠিত হয়েছে সিটও। সে সবের মাঝেই মারা গেল ছোট লালন।