নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগের তদন্তে নামল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। বৃহস্পতিবারই সিআইডি-র একটি প্রতিনিধি দল কল্যাণী থানায় যায়। সেখানে গিয়ে এই মামলায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এর কপি হাতে নেন গোয়েন্দারা।
রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই আবহে এবার বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দিয়েছে এই অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। বিজেপির চার জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কল্যাণীর এইমসে প্রভাব খাটিয়ে লোক নিয়োগ করেছেন তাঁরা। চারজন হলেন যথাক্রমে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। এফআইআর-এ এই চারজন গেরুয়া শিবিরের নেতা ছাড়াও আরও চারজনের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতিদমন আইনে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এইমস-এ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। এবার ওই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডি-র হাতে। বৃহস্পতিবার সিআইডির গোয়েন্দাদের হাতে সেই তদন্ত সংক্রান্ত নথি কল্যাণী থানার পুলিশ তুলে দিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে লোক নিয়োগ করেছে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। সরিফুল ইসলাম নামের ওই চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি এইমসের এক জন চাকরিপ্রার্থী। তিনি জানতে পারেন বেশকিছু বিজেপি নেতা টাকার বিনিময়ে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণীর এইমসের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন অনেক জনকে। এর পর এইমসের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সরিফুল। উল্লেখ্য রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসির শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। তার মাঝেই বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতি করার অভিযোগ দায়ের হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।