এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গ্রীনিস বুকে নাম তোলা সিদ্দিকা পারভিনের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে

নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণ দিনাজপুর : অতিকায় মহিলা হিসেবে গ্রীনিস বুকে নাম তোলা দক্ষিণ দিনাজপুরের(South Dinajpur) সিদ্দিকা পারভিনের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। অর্থাভাবে বন্ধ জটিল রোগের চিকিৎসা। এক সময় তাকে নিয়ে হইচইয়ের সীমা ছিল না রাজ্য জুড়ে । বছর আটেক আগেও গ্রামের রাস্তার ধুলো উড়িয়ে বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীরা সহায়তার প্রতিযোগিতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পৌছে গেছিল তার বাড়ি। কিন্তু এখন সে সব শুধু অতীতের ধুসর স্মৃতি মাত্র।

২০১৩ সালে পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গ্রীনিস বুকে স্বীকৃতি পাওয়া দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের শ্রীরামপুর(Sreerampore) গ্রামের অসুস্থ সিদ্দিকা পারভিনের অন্তরালের জীবন সংগ্রামে এখন কিন্তু আর কেউ সামিল নেই।এমনকি কিভাবে অতিকায় চলশক্তিহীন প্রায় অর্থব্য তরুনীটির কিভাবে দিন কাটছে তার খোঁজ ও রাখেনা কেউ।আজ পর্যন্ত জোটেনি দিন গুজরানের কোন সরকারি ভাতা।হয়নি আধার কার্ড। ভারতীয় অতিকায় তরুনী হিসেবে গ্রীনিস বুকে স্থান পাওয়া সিদ্দিকা তো বটেই তার পরিবার ও এব্যাপারে আজও ক্ষুদ্ধ। কেমন আছে সিদ্দিকা তার খোজ নিতে গিয়ে সেই ক্ষোভের আচ পেলাম আমরাও । সিদ্দিকা পারভীন (Siddiqa Parvin)তো তার ছবি পর্যন্ত তুলতে দিতে নারাজ, আর তার বাবা মায়ের অভিযোগ অনেকে তাদের মেয়ের ছবি ও তাদের পরিবারের ছবি তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের নিজ ভাগ্য ফেরালেও তাদের মেয়ের বা তাদের কোন হাল ফেরেনি।বরং অতিকায় মেয়েকে নিয়ে তারা অতিকষ্টে দিনযাপন করছেন।বরং অবহেলা অপমানের হাত থেকেও এখন নিস্তার নেই বিরল রোগে আক্রান্ত মেয়েটি।

পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের সমস্যায় ২৩ বছর বয়স থেকে সিদ্দিকার চেহারা দীর্ঘ হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। সিদ্দিকা এরপর ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এক সময় নেতা,মন্ত্রীর সুপারিশে দলীয় কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে সিদ্দিকা চিকিৎসা করতে ট্রেনে কলকাতা থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল। তারপর দিল্লি থেকে সেই যে বাড়িতে সবাই নামিয়ে দিয়ে গেল আর খোজ রাখে না কেউ। এখনও সুস্থ নন। ক্ষোভে সকলের সাথে ঠিক ভাবে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে অভিমানী সিদ্দিকা , সোজা হয়ে হাঁটতে পারা তো দুরের কথা ,
এহেন তেত্রিশ পেরনো সিদ্দিকাকে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছে তার দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির। তাদের বক্তব্য, সরকার তাদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করতে পারল না ,এবার অন্তত একটি ভাতার ব্যবস্থা করে দিক। যাতে ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে।আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছে সিদ্দিকা ও তার পরিবার ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল প্রশাসন

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

বাংলার তিন কেন্দ্রে ভোট মিটল শান্তিতেই

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে গঙ্গারামপুরে দেবের রোড শোতে জনসুনামি

মমতার সভায় গিয়ে মৃত্যু তৃণমূল সমর্থকের

বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার ইস্যু, মমতার নিশানায় সুকান্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর