নিজস্ব প্রতিনিধি: সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির। শেষে কিনা দিনহাটায় উপনির্বাচনে সাহায্যের ঝুলি নিয়ে বিএসএফের দারস্থ হয়েছেন দিলীপ-সুকান্তরা। বুধবার কোচবিহারের দিনহাটা আসনে আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিএসএফের ডিআইজির সঙ্গে বৈঠক করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ৩০ অক্টোবর কোচবিহারেরই দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দিলীপের এই সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উদয়ন গুহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বিজেপির রাজ্য নেতারা আজ সোনারিতে বিএসএফের সঙ্গে দেখা করেছেন। দিনহাটায় সাহায্য চাই।’
যদিও এই ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব না দিয়েই নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই জানিয়েছেন দিলীপ বাবু। তিনি বলেছেন, ‘আমি যেখানেই যাই সেখানেই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করি। দিল্লিতেও গিয়েও তাই করি। এদিনও তাই করেছি।’ একই ধরনের যুক্তি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, ‘দিলীপ ঘোষ লোকসভার বিশেষ কমিটির সদস্য। তাই তিনি বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।’ কোচবিহারের গোপালপুর এলাকায় বিএসএফের সেক্টর অফিসে ডিআইজি শৈলেন্দ্রকুমার সিংহের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায়ও।
এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর ৫০ কিলোমিটার জায়গা অবধি অধিকার বাড়ানো নিয়ে শাহকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এর মাঝেই দিনহাটার উপনির্বাচনের আগে বিএসএফ-এর ডিআইজির সঙ্গে দিলীপ-সুকান্ত সাক্ষাৎ নিয়ে জলঘোলা চলছেই।