নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ(North Bengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ(South Bengal)। ১২ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের চার প্রান্তে চারটি দুর্ঘটনা(Accidents) কেড়ে নিল মোট ৯জনের জীবন। এদের মধ্যে ২জন আবার নাবালক। দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে কোচবিহার(Coachbehar), দার্জিলিং(Darjeeling), মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) ও পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলায়। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার জেলার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা-জামালদহ রাজ্য সড়কের পালপাড়া ও পাইকেরটারির মধ্যবর্তী এলাকায় রবিবার রাতে। কীর্তন শুনে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি টোটো। ওই টোটোর যাত্রীরা ভোগরামগুরির সরকারের বাড়িতে নামসংকীর্তনের আসর থেকে ফিরছিলেন। পিছন থেকে দ্রত গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক ওই টোটোটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যায় টোটোটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জখম ২ জন।
আরও পড়ুন রেশন দোকান থেকে বাড়তি পরিষেবা, মতভেদ কেন্দ্র-রাজ্যের
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম এলাকায়। এদিন ভোরে সেখানে পুলিশের গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি যাত্রীবাহী বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুলিশের গাড়ির চালকের। গুরুতর জখম হন ২ পুলিশ কর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গাড়িটির। তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদ জেলার মাটিতে। জেলার কান্দি থানার ভবানীপুর মাঠপাড়া এলাকায় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের গাড়ির ধাক্কায় মারা যান এক বাইকারোহী। ঘটনার সময় ঘাতক গাড়িতে ২জন সাওয়ার ছিলেন। চালক ছাড়া অপর ব্যক্তি সরকারি আধিকারিক কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম নাশাই সেখ, বাড়ি কান্দি থানার অন্তর্গত গোকর্ণ চাটরা গ্রামে। এই ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত জনতা ঘাতক ওই গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে কান্দি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন কালনা হাসপাতালকে NQAS Certificate দিচ্ছে মোদি সরকার
চতুর্থ দুর্ঘটনাটি এদিন ঘটেছে দার্জিলিং জেলায়। নদী থেকে বালি, মাটি তোলার সময় ধস নেমে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৩ শ্রমিকের। তাদের মধ্যে ২ জন আবার নাবালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান খোদ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। মাটিগাড়ার বালাসন নদী থেকে বালি তোলার সময় ধস নেমে তাতে চাপে পড়ে রোহিত সাহানি(১৫) ও শ্যামল সাহানি(১৫) নামে দুই নাবালক এবং মনু কুমার(২০) নামে এক শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। যার নির্দেশে এই বালি ও মাটি কাটার কাজে গিয়েছিল ওই তিনজন, সেই নরেশ সর্দারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত যুবকের দাদা। তাঁর কথায়, ‘নদীঘাট বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও গোপনে বালি-পাথর তোলার কাজ হচ্ছে। বেআইনিভাবে কাজ চলছে। আমার ভাই যেতে চায়নি। সকাল ৬ টা নাগাদ জোর করে নিয়ে গিয়েছে। তারপরই এই ঘটনা।’