নিজস্ব প্রতিনিধি: জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে নাবালিকাকে করা হয়েছিল গণধর্ষণ। মৃত্যু হয়েছিল ওই নবম শ্রেণির ছাত্রীর। তারপর পেরিয়েছে ৮ মাস। অবশেষে আর্থিক সাহায্য পেল নাবালিকার পরিবার।
গত সোমবারে কলকাতা হাইকোর্টের (HC) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল হাঁসখালি (HANSKHALI) সংক্রান্ত মামলা। আদালতের প্রশ্ন ছিল, নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে কেন দেরি করা হচ্ছে? কেন বারবার শুনানি পেছনোর আবেদন করা হচ্ছে? এই বিষয় নিয়ে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথারিটি’র প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তবে আজ, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত সোমবারেই মৃতার পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আর্থিক সাহায্য পৌঁছনোর জন্য আদালত সময় দিয়েছিল মঙ্গলবার পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, হাঁসখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালী’র পুত্র ব্রজ (সোহেল) গয়ালী। জঘন্য এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে প্রভাকর পোদ্দার, রঞ্জিত মল্লিক এবং আকাশ বাড়ই, দীপ্ত গয়ালী। ধৃতদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, মৃতার পরিবারকে ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। দেহ তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এমনকি নির্যাতিতার শেষকৃত্য যাতে না হয় সেই জন্য কোনও পুরোহিতকেও ভয় দেখিয়ে আসতে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তের বাবা সমরেন্দ্র এবং তার বন্ধু পীযুষ ভক্তকে। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।