নিজস্ব প্রতিনিধি: দশক পেরিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) শেষ হল বাংলার সাড়া জাগানো ঘটনা কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডের(Kamduni Gangrape Incident) মামলা। ২০১৩ সালের ৭ই জুন, ২০ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ, গণধর্ষণ ও খুন করার ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসত(Barasat) থেকে মাত্র ১৬কিমি দূরে থাকা কামদুনি গ্রামে। রাজারহাটের ডিরোজিও কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ঘটনার দিন বিকালে স্থানীয় বিডিও অফিস রোড ধরে সাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় অভিযুক্তরা তাঁকে রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে একটি কারখানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে ৮ জন মিলে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে অপরাধীরা তাঁর পা নাভি পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলে, গলা কেটে তাঁর দেহ পাশের মাঠে ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনায় কার্যত শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা।
আরও পড়ুন বিধায়কের মৃত্যুতে ধূপগুড়ি হাতছাড়ার সম্ভাবনা বিজেপিতে
কামদুনির ওই ঘটনায় কামদুনির বাসিন্দারাই ঘটনার প্রধান অপরাধী আনসার আলী মোল্লাকে ধরে পুলিশের(Police) হাতে তুলে দিয়েছিল। তাকে জেরা করেই বাকি ৭জনের নাম পাওয়া যায়। সেই ৭জন হল সইফুল আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুল ইসলাম, ভুট্টো মোল্লা ও গোপাল নস্কর। ওই ঘটনায় ২০১৬ সালে নগর দায়রা আদালত আনসার আলী মোল্লা, সইফুল আলি মোল্লা ও আমিন আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা(Hang to Death) শুনিয়েছিল। বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ভোলানাথ ও গোপালের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পরিবার উভয়ই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। অপরাধীরা সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। নির্যাতিতার পরিবার চেয়েছিল ৮জনেরই ফাঁসী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত কিছু রিপোর্ট চলতি সপ্তাহের শুক্রবার জমা পড়ার কথা। ওইদিনই রায় দানের জন্য দিন ঘোষণা করতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ।