নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি (BJP) নেত্রী নুপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত হাওড়া। রেল অবরোধ, ইট বৃষ্টি, অগ্নি সংযোগ, থানায় হামলা, অবরোধ- বাদ থাকেনি কিছুই। গত শুক্রবার পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে উত্তপ্ত। বিক্ষোভকারীদের পিছু হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও কমেনি উত্তেজনা। ফের যাতে হিংসা না ছাড়ায়, তাই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পদক্ষেপ নিয়েছে উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসন। এদিকে উত্তেজনার ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল আছে। তা বরদাস্ত করা হবে না। জনজীবন স্তব্ধ করা চলবে না।
উত্তেজনা রয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়, ধুলাগড়, পাঁচলা। অবরোধ করা হয়েছিল ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই উত্তেজনার আঁচ যেন উলুবেড়িয়ায় না লাগে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এখানে কোনও অবরোধ করা যাবে না। শুধু তাই নয় বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে করা যাবে না জমায়েতও। আগামী বুধবার পর্যন্ত এই অঞ্চলে ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অশান্তি হলে জিরো টলারেন্সের পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তেজনায় রাশ টানতে ও ভুয়ো খবরের রমরমা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে হাওড়ায়। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা।
দিল্লির বিজেপি নেত্রী পয়গম্বর সম্পর্ক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই উত্তাল হাওড়া। গত বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার আরও উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া। দেখানো হয় প্রতিবাদ। তার পরেই চলে পথ অবরোধ, পুলিশকে (POLICE) লক্ষ্য করে চলে বিক্ষোভকারীদের ইটবৃষ্টি। রয়েছে পুলিশকে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ। এদিকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রশমিত করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। বিক্ষোভ দেখা যায় হাওড়া, উলুবেড়িয়া, পাঁচলা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। উল্লখ্য, এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় ক্লাব ও ইমামদের শান্তির জন্য এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে বলেছেন তিনি।
শুক্রবারের জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভয়েস কলের ক্ষেত্রে জারি থাকবে নিয়ন্ত্রণ। করা যাবে সাধারণ ফোন কল, এসএমএস। দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করতে না নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গুজব ছড়ালেই কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।