নিজস্ব প্রতিনিধি,জলপাইগুড়ি: মিনি দুর্গা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ির দেবাশীস ঝাঁ। ইতিমধ্যেই নেপাল, অসম, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তার এই ছোট্ট দুর্গা প্রতিমা। প্রতিমা বানানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের(Jalpaiguri Sadar Block) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জলপাইগুড়ি- হলদিবাড়ি সংলগ্ন রাখাল দেবী এলাকার দেবাশীষ ঝাঁ। তাকে সহযোগিতা করেন তার পরিবারের লোকজন। ছোট্ট প্রতিমা শিল্পী এত নিখুঁত এবং সুন্দর ছোট্ট দুর্গা প্রতিমা(Durga Pratima) তৈরি করে মন কেড়েছেন অনেকেরই।
প্রতিমার সমস্ত গহনা থেকে শুরু করে মাটি, বাঁশ, সুতলি, খড়, পেরেক ও রং- তুলি সবই দরকার পরে এই প্রতিমা বানাতে। প্রতিমার সমস্ত গহনা তিনি নিখুঁতভাবে তৈরি করে থাকেন। কারণ বাজারে এসব ছোট জিনিস সহজে মেলে না। তাই এই ছোট দুর্গা প্রতিমার জন্য তিনি মুকুট থেকে মালা ও অন্যান্য সমস্ত গয়না নিজেই তৈরি করেন। মাত্র ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি এই প্রতিমা জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বাইরেও স্থান পেয়েছে। করোনাকালেও বেশ কয়েকটি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলেন তিনি। গত বছরও দেবাশীসবাবুর কয়েকটি প্রতিমা বিক্রি হয়েছিলো। অনেক আশা নিয়ে এবছর কয়েকটি প্রতিমা তিনি তৈরি করলেও এখনো কোনো অর্ডার পাননি তিনি। হতাশ দেবাশীষবাবু হাল ছেড়েই দিয়েছেন। পুজোর সময় বেশ কয়েকটি প্রতিমা বিক্রি হলে সংসারের সুবিধা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি প্রতিমা বানিয়ে আসছেন ।
বঞ্চিত শিল্পী ভাতা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে ।বড় বড় পূজো হচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন ইতিমধ্যেই বড় প্রতিমার জন্য বায়না দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু দেবাশীষবাবু প্রতিমার কোন অর্ডার(Order) না আসায় হতাশ তিনি তার পরিবার। বর্তমানে যা অবস্থা, জিনিসের দাম উর্ধ্বমুখী। তাতে সংসার চালাইতে খুবই অসুবিধা। মাত্র কয়েক বছর হল প্রতিমা বানানোর পাশাপাশি তিনি একটি ছোট্ট দোকান করে সংসার চালান। কিন্তু চিন্তায় দেবাশীষ বাবু আদোও এই শিল্প ধরে রাখতে পারবেন কিনা? এখন পর্যন্ত প্রতিমা বায়না না পাওয়ায় মন খারাপ দেবাশিসবাবু ও তার পরিবারের। তিনি আরো আক্ষেপ করে বলেন, এই প্রতিভা বানাতেযা শ্রম এবং খরচ সেই অনুপাতে দাম পাওয়া যায় না।