নিজস্ব প্রতিনিধি,হাবড়া: ইডির হানা প্রসঙ্গে হাবড়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য,এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে না।কেন্দ্রীয় সরকার যখন বুঝে গেছে হারবে তখন থেকেই এইসব সক্রিয়তা শুরু করেছে।শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) তৃণমূলের কম্বল গোছানোর মন্তব্যে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,উনি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন কিনা কেন্দ্রীয় সরকারের আমার জানা নেই।দেগঙ্গায় শুভেন্দু অধিকারী নারায়ণ গোস্বামীকে নিয়ে নথি প্রসঙ্গে বলেন,ওনার কাছে নথি থাকলো কি করে ? সেটাই তো প্রশ্ন!একটা দেশের আইন আছে একটা সরকার আছে, দেশের এজেন্সি গুলো স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে। উনি কবে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন? আমার জানা নেই, এমনটাই মন্তব্য কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার ৮ দিনের মাথায় চার দিক থেকে চাপের মুখে ২ জনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার(Nazat P.S.) পুলিশ।
ধৃতরা মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সরদার। পুলিশের সূত্রে খবর, ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজে তাদের ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে আধিকারিকদের ওপর হামলার পর ইডির দায়ের করা FIRএর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ঘটনায় যুক্ত শাহজাহান শেখের ২ অনুগামী মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সরদার। এর পর সূত্র মারফৎ তাদের সন্ধান শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ন্যাজাট থানা এলাকায় মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার একটি ঘর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার পর থেকে শাহজাহানের মতো গা ঢাকা দিয়েছিল তারাও।ওদিকে ঘটনার ৭ দিন পরেও মূল অভিযুক্ত তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে। সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহান সন্দেশখালি এলাকাতেই রয়েছে। তবে কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।সন্দেশখালি(Sandeshkhali) কাণ্ডের পর ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে মমতা সরকার। ঘটনার পর সপ্তাহ ঘুরলেও শাহজাহান কেন গ্রেফতার হয়নি তা জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেন রাজ্যপাল(Govonor)।
ওদিকে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির ন্যাজাট থানা অভিযানে ধুন্ধুমার বাঁধে। ইডির বিরুদ্ধে শাহজাহান শেখের তরফে দায়ের FIRএ স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।গত শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়। সন্দেশখালি কান্ডে ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 147,148,149,341,186,353,323,427, 379,506,34IPC ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ধৃত সুকমল সরদার ,মেহেবুর মোল্লাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।