নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের বঞ্চনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে বাংলা(Bengal)। তার মধ্যে অন্যতম হল ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের(100 Days Work Project) টাকা আটকে রাখা ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের(Anganwadi Centers) বাড়ি তৈরির টাকা আটকে রাখার ঘটনা। এই দুটি ক্ষেত্র কিছুটা হলেও পরস্পর সংযুক্ত। কেন্দ্র সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির খরচা বহণ করলেও সেই বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে। কিন্তু এখন দুটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্র সরকার টাকা আটকে রাখায় বাংলার বুকে এই দুটি প্রকল্প নিয়েই চিন্তায় আছে রাজ্য প্রশাসন তথা নবান্ন(Nabanna)। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র সরকার আটকে রাখায় এখন রাজ্য সরকারকে ভাবতে হচ্ছে অন্য কোন পথ থেকে এই প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করা যায়। বাংলায় এখন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। যার মধ্যে অধিকাংশই চলে ভাড়া করা জায়গায় বা স্কুলবাড়িতে। ফলে প্রতি বছর ভাড়া বাবদ মোটা টাকা গুনতে হয় রাজ্যকে। সেই কারণেই রাজ্য সরকার চাইছে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি থাকুক।
আরও পড়ুন নিউটাউন হবে পৃথক পুরসভা, ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ভাড়া বাঁচিয়ে তা দিয়ে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য দিতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি নির্মাণে জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশকুমার সিং একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রতিটি রাজ্যকে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়ি গড়ার খরচ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮ লক্ষ টাকা। আগে যা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির সরঞ্জাম থেকে শুরু করে মজুরির টাকাও ধরা রয়েছে। কেন্দ্র এই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কোনও ফলই পাবে না রাজ্য। উল্টে বাংলাকে ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত রাখার ফলে, এই কাজের অর্থ অন্য জায়গা থেকে কীভাবে জোগাড় করা যায়, সেটাই এখন রাজ্যের আধিকারিকদের ভাবতে হচ্ছে। কেন্দ্র টাকা না দিলেও মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি নির্মাণে জোর দিতে চাইছে।
আরও পড়ুন পার্থ-অর্পিতা-কুন্তল ত্রিকোন সম্পর্ক আর ১০০টা গাড়ি
কেন্দ্র যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। কিন্তু টাকা না দিলে রাজ্যগুলি কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে মাথাব্যথাই নেই তাঁদের। রাজ্য সরকার অবশ্য এই কাজ ফেলে রেখে দিতে চাইছে না। ধীরে ধীরে হলেও এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার তহবিলের সন্ধান শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ৮ তারিখ রাজ্য বিধানসভায় যে বাজেট পেশ হতে চলেছে তাতে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে পারেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মোদি সরকার(Modi Government) বাংলাকে বঞ্চিত করে রাখতে চাইলেও, এই রাজ্যের মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয় সেটার ওপরেই এখন সব থেকে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
