নিজস্ব প্রতিনিধি: অনার্য দেবী মা কালীর ভক্তের তালিকায় রয়েছেন তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদ থেকে সাহিত্যিক, শিল্পীরা। কালীকে নিয়ে স্বতন্ত্র সঙ্গীতের ধারা রয়েছে বাংলা শিল্প ও সঙ্গীত জগতে, যা শ্যামাসঙ্গীত নামে পরিচিত। কবি রামপ্রসাদ সেন, কমলাকান্ত ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষায় বহু শ্যামা সঙ্গীত রচনা করেছেন। যা আজও বহুল জনপ্রিয়। অশোকনগরে তৃণমুল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী মা কালীর ভক্ত তা অনেকের কাছে অজানা নয়। কালী পুজোর প্রাক্কালে শ্যামা মায়ের পায়ের কাছে বসে এবার নিজের গাওয়া শ্যামাসঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশ করলেন বিধায়ক।
শুক্রবার বারাসত আগুয়ান সঙ্ঘে নিজের শ্যামাসঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশ করেন অশোকনগরে বিধায়ক তথা জেলা পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী। আগুয়ান সঙ্ঘের পুজোমণ্ডপে নিজের কণ্ঠে গাওয়া ‘মা গো আনন্দময়ী’ গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী আগুয়ান সঙ্ঘের কালীপুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা। এ বছর ৫০ ফুট উচ্চতার কালীমূর্তি নির্মাণ করছে এই ক্লাব। নিজের গানের চর্চা এবং গানের অ্যালবাম নিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আকর্ষণ ছিল আমার। কাজের চাপে সবসময় গান গাওয়া হয় না। এবারে সেই সুপ্ত ইচ্ছার প্রকাশ ঘটতে চলেছে অ্যালবামের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত কালী পুজোর আগে এ বছর দুর্গাপুজোতেও আগমনী গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর গান মানুষ শুনলে ভালো লাগবে বলে বিধায়ক জানান।
অন্যদিকে বারাসত আগুয়ান সঙ্ঘের পুজো নিয়ে তিনি জানান, এ বছর আগুয়ান সঙ্ঘের পুজো ৫০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে, এ বছর প্রতিমার উচ্চতা করা হচ্ছে ৫০ ফুট। ইতিমধ্যে ৫০তম বর্ষে ৫০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছেন আশেপাশের এলাকার মানুষজন। সাম্প্রতিককালে বারাসতে এত উচ্চতার কালীমূর্তি দেখা যায়নি। নারায়ণবাবু জানান, শুধু বারাসত নয়, এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও মানুষ আমাদের প্রতিমা দেখতে আসবেন।