নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারের লোকসভা নির্বাচনে(Lolsabha Election 2024) তৃণমূল কংগ্রেস যে সব শ্লোগান তুলেছে তার মধ্যে অন্যতম হল – ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’। সেই বিরোধীদের এবার বড় ধাক্কা দিতে চলেছে খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশন(ECI)। কেননা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) অপ্রতুলতার দরুণ কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলায়(Bengal) প্রথম দফা নির্বাচনে শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথেই(Sensitive Booths) থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল, সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোটগ্রহণ করাতে হবে। কিন্তু সেই দাবি যে পূরণ হচ্ছে না সেটা এখন জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা, যে পুলিশকে বিরোধীদের সব থেকে বড় আপত্তি সেই পুলিশের ওপরেই এবার নির্ভর করতে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। আগামী শনিবার তাই প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা স্থির করতে বৈঠকে বসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর আর কে শর্মা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যের যে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে সেই প্রথম দফার আগে বাংলায় আরও বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো কার্যত সম্ভব হচ্ছেই না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। আর তাই কমিশনও প্রথম দফার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি বুথগুলির ভোট পাহারার জন্য রাজ্য পুলিসের ওপরই ভরসা করতে হবে কমিশনকে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে আর অতিরিক্ত বাহিনী না মিললে প্রথম দফায় শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলিতে আধাসেনা মোতায়েন রেখে ভোট হবে। কেননা, প্রথম দফায় সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন। এত সংখ্যক বাহিনী মেলা এখন অসম্ভব। কারণ প্রথম দফায় দেশের একাধিক রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। ফলে যে সংখ্যক বাহিনী থাকবে তা দিয়েই প্রথম দফায় কাজ চালাতে হবে কমিশনকে।