নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠন ঢেলে সাজাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে। এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে রদবদল করা হল। বুধবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শ্রমিক সংগঠনের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমস্ত জেলার দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আইএনটিটিইউসি শাখায় যাঁদেরকে সভাপতি হিসাবে মনোনীত করেছে দল তাঁদের নাম যথাক্রমে, আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলায় বিনোদ মিঞ্জ। কোচবিহারে পরিমল বর্মন, জলপাইগুড়িতে রাজেশ লাকড়া, দার্জিলিঙ পাহাড়ে দিপক প্রধান, দার্জিলিঙ সমতলে নির্জল দে, উত্তর দিনাজপুরে শেখর দাস, দক্ষিণ দিনাজপুরে নামিজুর রহমান, মালদায় শুভদীপ স্যান্যাল, জঙ্গিপুরে আমিরুল ইসলাম, বহরমপুরে পার্থ প্রতিম সরকার, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় শশাঙ্ক শেখর ঘোষ চৌধুরি, রানাঘাটে সনৎ চক্রবর্তী, দমদম এবং ব্যারাকপুরে সোমনাথ শ্যাম, বারাসতে তাপস দাশগুপ্ত, বসিরহাটে কৌশিক দত্ত, বনগাঁয় নারায়ণ ঘোষ, ডায়মণ্ড হারবার এবং যাদবপুর সাংগঠিনিক জেলায় শক্তিপদ মণ্ডল, সুন্দরবন জেলায় পরেশরাম দাস।
উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি করা করা হয়েছে যথাক্রমে স্বপন সমাদ্দার ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। পুর্ব বর্ধমান ও ও পশ্চিম বর্ধমানে শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয়েছে সৈয়দ মহম্মদ সেলিম এবং অভিজিৎ ঘটককে। ত্রিদীপ ভট্টাচার্যকে করা হয়েছে বীরভূম জেলার সভাপতি। রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উজ্জ্বল কুমার, ঝাড়গ্রামে মহাশিষ মাহাতো, ঘাটালে সুশান্ত মণ্ডল, মেদিনীপুরে গোপাল খাটুয়া, কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় বিকাশ বেজ, তমলুকে শিবনাথ সরকার, হাওড়া শহরে প্রাণকৃষ্ণ মজুমদার, হাওড়া গ্রামীণে অরুপেশ ভট্টাচার্য, হুগলি শ্রীরামপুরে মনোজ চক্রবর্তী এবং আরামবাগে উত্তম কুণ্ডু।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, দলকে স্বচ্ছ রাখতে হবে। কোনওরকম দুর্নীতি ও তোলাবাজি করা যাবে না নেতা কর্মীদের। দুর্নীতির প্রশ্নে কারোর বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগ উঠলে দলের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বে রদবদল করার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্যের শাসকদল।