নিজস্ব প্রতিনিধি: হাঁসখালি(Hanskhali) কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর ১০ দিন পরেও মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে পারলেন না তার বাবা-মা। অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তদের চাপে তাঁদের বাড়িতে এদিন নাবালিকার পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম(Shradh) করতে এলেনই না পুরোহিত ও নাপিত। অথচ সেই কাজ করার জন্য ২ দিন আগে থেকেই নাবালিকার বাবা গ্রামের পুরোহিত ও নাপিতের সঙ্গে কথা বলে রেখেছিলেন। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই কিনে এনেছিলেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা কেউই হাজির না হওয়ায় নির্যাতিতার বাবা পুরোহিত ও নাপিতের বাড়িতে গেলে তাঁরা ওই পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তার জেরেই নির্যাতিতার পরিবারের ধারনা ঘটনার মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা সমর গয়ালি যেহেতু প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তাই তাঁরাই হয়তো হুমকি ধমকি দিয়ে তাঁদের ওই কাজ করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাঁসখালি কাণ্ডকে ঘিরে।
হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআই(CBI) তাঁদের তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তার মাঝেই নাবালিকার(Minor Girl) পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মও আটকে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে দিয়েছে। নাবালিকার বাবা-মা কিন্তু এদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের চাপে তাঁদের বাড়িতে কোনও পুরোহিত-নাপিত আসতে চাইছেন না। যার ফলে মেয়ের এরকম মর্মান্তিক পরিণতির পরেও তাঁরা তার শেষ কাজটুকুও করতে পারছেন না। তাঁদের অনুমান গ্রামের পুরোহিত-নাপিতকে সমর গয়ালির দলবল ভয় দেখিয়েছে। তার জেরেই তাঁরা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে আসেননি তাঁদের বাড়িতে। যদিও তাঁরা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার জন্য সমস্ত কিছু কিনে এনেছিলেন। এদিনই নির্যাতিতার বাড়িতে আসার কথা রয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের। সূত্রে খবর তাঁরা এদিন সন্ধ্যাবেলার দিকে আসবেন। তখন তাঁদের কাছে এই বিষয়টি তুলবেন বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।