নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁটা দিয়েই এবার কাঁটা তোলার নীতি নিল তৃণমূল। যে নন্দীগ্রামে বিতর্কিত জয়ের মুখ দেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী সেই নন্দীগ্রামেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নিল তৃণমূল। আর সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এখন জমি আন্দোলনের পীঠস্থানে চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি শুভেন্দুর অনুগামীরাও। কেননা তৃণমূলের সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে সেখানে বিজেপির নেতা কর্মী থেকে শুভেন্দুর অনুগামীরা ঘরের বাইরে পা রেখে আদৌ রাজনীতি আর করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১লা নভেম্বর থেকে নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথে দলের তরফে কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হবে। ৭ই নভেম্বর নন্দীগ্রামের কলেজ মাঠে আয়োজিত হবে তৃণমূলের কর্মীসভা। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পাশাপাশি একাধিক মন্ত্রী কর্মীসভায় উপস্থিত থাকতে পারেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের কর্মীসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী হ্যাঙ্গিং এমএলএ। গণনায় কারচুপি করে বিধায়ক হয়েছেন। কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। উনি ধর্মের সুড়সুড়ি দিচ্ছেন, নন্দীগ্রামে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। ওনার বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ যে উনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নামে সিবিআইয়ের কাছে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। সিবিআইও সেই সব ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মীদের আটক করছে। এরই প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে।’
তৃণমূলের এই কর্মসূচীর কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন বিজেপির কর্মীরা। যদিও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ প্রলয় পালের দাবি, ‘বিজেপিকে ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কর্মসূচী নিচ্ছে। এতে কিছু লাভ হবে না।’ যদিও বিজেপির নেতারা স্বীকার করছেন তৃণমূল প্রতিটি বুথে লাগাতার কর্মসূচী শুরু করলে তাঁরাই চাপে পড়ে যাবেন। কেননা এই ধরনের কর্মসূচীকে ঘিরে এলাকা খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটতে পারে। যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবেন।