নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাদেই আছে বাঙালির কাছে পিঠে কম সময়ে ঘুরে আসা মানেই দিঘা-পুরী- দার্জিলিং। উইকেন্ডের ছুটিতে ভরে ওঠে দিঘা (Digha)। আর সেই দিঘাতেই এবার ছুটে বেড়াবে হরিণ। শুধু হরিণ কেন, দেখা মিলবে কুমির, ঘড়িয়াল, কচ্ছপের। সামুদ্রিক পর্যটনকেন্দ্রে এবার তৈরি হচ্ছে চড়িয়াখানা। আর এই খবরেই উৎফুল্ল জেলা তথা রাজ্যবাসী। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর (CM) অন্যতম স্বপ্নের প্রোজেক্ট দিঘা। তাঁর নির্দেশেই পুরীর ধাঁচে এখানে গড়ে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির। পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি দিঘাকে ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। এবার এখানে তৈরি হবে চিড়িয়াখানা।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ মানেই দিঘা। রাজ্যবাসীর প্রিয় ও ঝঞ্ঝাটহীন কাছের ঘুরে বেড়ানোর ঠিকানা। এখানেই গড়ে উঠবে চিড়িয়াখানা। তবে এখনই বড় আকারে নয়, তৈরি হবে মিনি জু। তা গড়ে উঠবে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সফরের আদলে। পূর্ব মেদিনীপুর বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৪ একর জমি জুড়ে তৈরি হবে চিড়িয়াখানা। ব্যয় হবে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছিল তিনমাস আগে। তাতে ছাড়পত্র মিললেই শুরু হবে কাজ। ছাড়পত্র মিলবেই বলে আশাবাদী আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গিয়েছে মাস্টার লে- আউট প্ল্যান।
বন আধিকারিক অনুপম খান জানান, আপাতত রাখা হবে হরিণ, কচ্ছপ, কুমির। বাঘ, সিংহ, জিরাফ, হাতি রাখার কথা প্রাথমিক পর্যায়ে ভাবা হয়নি। মূলত রাখা হবে দেশের বিভিন্ন পশু- পাখির প্রজাতি। আরও বলেন, এতে বাড়বে রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আয়। জানা গিয়েছে, পশু পাখিদের জন্য তৈরি হবে বিভিন্ন ধরণের খাঁচা। তাদের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি খাঁচার পরিসর থাকবে অনেকটাই বড়, যাতে ঘুরে-ছুটে বা উড়ে বেড়ানোয় অসুবিধা না হয়।
রাজ্য এবার পেতে চলেছে চতুর্থ চিড়িয়াখানা (Zoo)। জানা গিয়েছে, তা গড়ে উঠবে নিউ দিঘার কনভেনশন সেন্টার লাগোয়া দত্তপুর মৌজায় । আর এই খবরেই আপ্লুত জেলা তথা রাজ্যবাসী। পর্যটনে বিনোদন যে বাড়ছে আরও!