নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(Pradhanmantri Awas Yojna) প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের জন্য মোদি সরকার(Modi Government) ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। শুধু তাই নয়, সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে ১৫ দফা শর্তও। গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কার্যত প্রতিদিনই কেন্দ্র নতুন কোনও না কোনও শর্ত জুড়ে দিচ্ছে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য। নতুন শর্ত হিসাবে যেমন যুক্ত হয়েছে চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চিহ্নিত করতে হবে বাংলায় কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন তেমনি সেই তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি না হলে বরাদ্দে কাঁটছাঁট করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের নতুন শর্ত হল যাদের নাম এই প্রকল্পের জন্য উপভোক্তা হিসাবে উঠবে তাঁদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট(Bank Account) যেন আধার কার্ডের(Aadhar) সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগ না থাকলে কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন নির্মলার বাজেট ফ্লপ, আয়করে ছাড় দিতে চান মোদি
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদ চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য নতুন করে যে বাড়িগুলি অনুমোদন করা হবে তাদের জন্য ১০০ শতাংশ আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। সবার টাকাই আধার সংযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেম বা এবিপিএস মারফত পাঠাবে কেন্দ্র সরকার। যদি একাধিকবারের চেষ্টাতেও এবিপিএস মারফত টাকা পাঠানো না-যায়, শুধু তখনই পিএফএমএস ব্যবহার করা যেতে পারে। উদ্দেশ্য, এই ধরনের উপভোক্তাদের ক্ষেত্রেও টাকার জন্য বাড়ির কাজ আটকে থাকবে না। যাঁদের ইতিমধ্যেই আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও আধার সংযুক্তিকরণ ও যাচাইয়ের কাজও করতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন মঙ্গলে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত, ফের থমথমে বকটুই
বেশকিছু উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ এখনও চলছে। এঁদের ক্ষেত্রে রাজ্যের বাড়তি কাজ হল পিএফএমএসের মাধ্যমে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বৈধতা যাচাই করে নেওয়া। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র ন্যায্য উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা সরাসরি পৌঁছনো নিশ্চিত করতেই সবার জন্য আধারযোগ ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে চালু করেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই সব কিছু বাস্তবায়িত করে দেখানো।