নিজস্ব প্রতিনিধি: এত বড় মাপের একজন স্টারের স্ত্রী বলে কথা, বরাবরই তাঁকে শান্ত-শিষ্ট বলেই মনে হয়। সঙ্গে দারুণ একটি ব্যাক্তিত্বের অধিকারিনী তিনি।কিন্তু ছোটবেলায় কিনা একেবারে ‘গেছো’ ছিলেন তিনি! হ্যাঁ, নিজেই স্বীকার করলেন নায়িকা সম্প্রতি দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে এসে তিনি।তিনি সব সময়ে ঠান্ডা মেজাজেই থাকেন। সেটাই বলা চলে। ৪০ এর অপরের বয়স, ছেলের বয়স নেই নেই করে ১৮ ছুঁয়েছে।
কিন্তু কে বলবে, গ্ল্যামারের দিক দিয়ে যেন এখনও ২০ তে আটকে রয়েছেন বুম্বা দার স্ত্রী অর্পিতা চ্যাটার্জী। ফিগারে যেন একটুও মেদ জমতে দেওয়া যাবে না, সেটাই যেন প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি। তাইতো এই বয়সেও তাঁর ফিগারে নেই একফোঁটা মেদ। যাই হোক, এ তো গেল তাঁর বাহ্যিক পরিচয়। বেশ কয়েকটা সুপারহিট ছবিও আছে তাঁর হাতে, বেশিরভাগই স্বামী প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে জুটি বেঁধে। অভিনয়েও এক্কেবারে খাসা নায়িকা।
তবে এখন তিনি খুব একটা বড় পর্দায় নাম তোলেন না নিজের। তবে হ্যাঁ, একেবারেই যে কাজ করেন না, তা বলাও ঠিক না। সম্প্রতি কয়েকটি বড় পর্দায় কাজ করলেন তিনি। তবে তিনি সব সময়ে কুল এন্ড কাম থাকলেও ছোটবেলায় কিন্তু এক্কেবারে গেছো বাদর ছিলেন, অর্থাৎ দুষ্টুমি করেই ছোটবেলা কেটেছে অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি, দিদি নং ওয়ান এর সেটে প্রতিযোগী হিসেবে এসেছিলেন অর্পিতা। সেখানেই সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ছোটবেলায় কেমন ছিলে, শান্ত না দুষ্টু?’ তখনই অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি এক্কেবারে গেছো ছিলাম ছোটবেলায়। আমার বাবা-মা কে যে পরিমাণে আমি জ্বালিয়েছি তা বলার মতন নয়’। আর অভিনেত্রীর এই কথা শুনে তখন মঞ্চে উপস্থিত সবাই হেসে এক্কেবারে লুটোপুটি। দেরিতে হলেও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের এরকম নস্টালজিক কথা শুনে নেটিজেনরাও হেসে গড়াগড়ি।