আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক নারীতে অনেকেই সন্তষ্ট নন। ফলে বহু বিবাহ কার্যত মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে তালিবান কর্মকর্তাদের। কিন্তু দেশের কোষাগারের দশা ভাঁড়ে মা ভবানী। তাই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তাদের একাধিক বিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে নতুন আদেশ জারি করেছেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘দুটি, তিনটি কিংবা চারটি বিয়ে শুধু ব্যয়বহুলই নয়। অপ্রয়োজনীয়।’
আফগান সংবাদমাধ্যম ‘টোলো নিউজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে গত বছর জানুয়ারি মাসে সংগঠনের সদস্য ও কমান্ডারদের একাধিক বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তালিবান শীর্ষ নেতা হাইবুতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু ওই নির্দেশের তেমন বাস্তবায়ন হয়নি। বরং দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে তালিবান সদস্য ও কমান্ডারদের মধ্যে বহু বিয়ে করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই কার্যত প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন শীর্ষ তালিবান নেতারা।
আফগানিস্তানের কোনও-কোনও এলাকায় বিয়ের ক্ষেত্রে বিপুল অঙ্ক দেনমোহর হিসেবে দিতে হয়। বেশ কিছু জায়গায় দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিয়ের জন্য ২০ লক্ষ আফগানি মুদ্রা বা ২৬ হাজার মার্কিন ডলার দেনমোহর দিতে হয়। আর ওই বিপুল অর্থ সংগ্রহের জন্য তালিবান কমান্ডার ও সদস্যদের অনেকেই অনৈতিক কাজের দিকে ঝুঁকছেন। গত কয়েক মাসে এ বিষয়ে প্রচুর অভিযোগ উঠেছে। আর তার ফলেই বহু বিয়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের সর্বোচ্চ নেতা মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা যে নতুন আদেশ জারি করেছেন তাতে তালিবান সরকারের কর্মকর্তাদের দুটি, তিনটি অথবা চারটি বিয়ের রাস্তা ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নারী অধিকার নিয়ে একটি আদেশ জারি করেছিল তালিবান সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, ‘মহিলাদের ‘সম্পত্তি’ মনে করা উচিত নয়। বিয়েতে অবশ্যই তাঁদের সম্মতি থাকতে হবে। কেননা, মহিলাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রয়েছে।’