নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই স্বৈরাচারের রাস্তায় হাঁটছেন কন্যা শেখ হাসিনা। শুক্রবার নাম না করে বিএনপি-সহ সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামিল বিরোধী নেতা-কর্মীদের আগুনে পুড়িয়ে মারার নিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর ওই নিদান ঘিরে সমালোচনার পাশাপাশি নিন্দার ঝড় উঠেছে। কোনও প্রশাসনিক প্রধান দেশের কোনও নাগরিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার কথা বলতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
গত কয়েকদিন ধরেই সরকার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। ‘ভোট চুরির’ সাহায্যে গত ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ইস্তফার দাবিতে বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ আন্দোলনের সময়ে একাধিক জায়গায় ফাঁকা বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ওই অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর কেউ যেন পার না পায়। যদি আগুন দেওয়ার সময় কেউ হাতেনাতে ধরা পড়ে তাহলে সাথে সাথে ওই আগুনেই তাকে ফেলতে হবে, হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাতই পোড়াতে হবে। তাহলে এরা সোজা হবে, নাহলে সোজা হবে না। কারণ, যে যেমন তার সঙ্গে তেমনই করতে হবে।’ একই সঙ্গে অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায়-এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ডাক দিয়েছেন মুজিব কন্যা। তাঁর কথায়, ‘অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে হবে। ’