নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unnatural death) ক্ষেত্রে নিয়ম ময়নাতদন্তের। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ সংশ্লিষ্টের বাড়িতে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। আর ঠিক উল্টো একটি ছবি ধরা পড়ল প্রতিতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে। মরা মেয়ের লাশ ভ্যান চালিয়ে থানায় নিয়ে গেলেন বাবা। নিহতের নাম হোসেন আরা খাতুন। বয়স মাত্র ১৬ বছর।
পুলিশ (police) সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে বাগমারার যোগিপাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুরের আব্দুল মালেকের মেয়ে হোসেন আরা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় বীরকুৎসা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রানা ইসলামের সঙ্গে। হোসেন আরার পরিবারের বিবৃতি অনুযায়ী, ঈদের আগে তাঁর জামাই একটি স্মার্টফোন (smart phone) চেয়েছিল। জামাইয়ের দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকাজন মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় হোসেন আরার ওপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। প্রতিদিনই ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঝামেলা করত। শেষপর্যন্ত হোসেন আরাকে খুন করার পরিকল্পনা করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তরুণীর পরিবারের দাবি, খুনের অভিযোগ চাপা দিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আত্মহত্যার গল্প তৈরি করে।
পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ (police) হোসেন আরার দেহ থানায় আনতে ওই বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু থানায় লাশ নিয়ে আসার কোনও গাড়ি ছিল না। শোকে মূহ্যমান বাবা সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের লাশ সে নিজেই কাঁধে করে থানায় পৌঁছে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ঘটনা, যা পড়ে সকলেই দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলছেন।
আরও পড়ুন ঘনঘন জনস্বার্থ মামলা, আইনজীবীকে বীর আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট