এই মুহূর্তে




আওয়ামী লীগ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে খুলনার জেলে তড়িঘড়ি তৈরি হল ফাঁসির মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ওই ভোটের আগেই দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ফাঁসিতে ঝোলাতে যুদ্ধকালীন ত‍ৎপরতা শুরু করেছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। খুলনা-সহ দেশের যে সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে জেলের মধ্যে ফাঁসির মঞ্চ নেই, সেখানে তড়িঘড়ি ফাঁসির মঞ্চ তৈড়ির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ পেয়েই কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই খুলনা জেলে নতুন ফাঁসির মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের ৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আশ্রয় নেন ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সাংসদরা। গত ৮ অগস্ট তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসাবে কাজ করা কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগকে নিধন করার জন্য ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি গণহারে গ্রেফতার করা হয় দলটির নেতা-কর্মী-সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা জমানায় পুলিশ-প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করা হয়। গত ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের চার শতাধিক কর্মীকে গুলি করে মেরেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলের মধ্যে থাকা ২৫ আওয়ামী লীগ নেতাকে বিষ প্রয়োগ করেও খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আ্্যোয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সব আদালতে মামলা চলছে সেখানকার বিচারকদের ডিসেম্বরের মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ফাঁসির সাজা দিতে হবে বলে ফরমান জারি করেছেন আইন উপদেষ্টা তথা জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশ শূড়ার সদস্য আসিফ নজরুল।

আওয়ামী লীগ নেতাদের ফাঁসিতে চড়ানোর জন্য দেশের প্রতিটি জেলা ও  কেন্দ্রীয় কারাগারে মঞ্চ তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে খুলনা জেলা কারাগারে যুদ্ধকালীন ত‍ৎপরতায় তৈরি হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। খুলনা জেলের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘দেশের সবচেয়ে আধুনিক ফাঁসির মঞ্চ রয়েছে খুলনার নতুন কারাগারে। ফাঁসির মঞ্চ সাধারণত উন্মুক্ত এবং নির্জন এলাকা হয়। অন্যান্য জায়গায় ফাঁসি কার্যকরের সময় বিভিন্ন পর্দা ব্যবহার করে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে করে আসামিরা ভয় না পায়। খুলনা জেলে ফাঁসির মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিকভাবে। ঘরটির দৈর্ঘ্য ৩৪ ফুট, প্রস্থও ৩৪ ফুট। ফাঁসির মঞ্চের উচ্চতা সামনে ২০ ফুট, পিছনে ১৭ ফুট। আসামিদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য মঞ্চের নিচে প্রায় ১০ ফুটের মতো গভীরতা রাখা হয়েছে। মঞ্চটিতে ওঠার জন্য দু’দিক থেকেই পাকা সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই মেঝেতে চোখে পড়বে লোহার দুটি পাত আর একটি লিভার। লিভার টান দিতেই আসামির পায়ের নিচ থেকে সরে যাবে পাতগুলো।’ ঘেরাটোপে ফাঁসির মঞ্চ তৈরির কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন-কোন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর ফাঁসি হচ্ছে তা যাতে প্রকাশ হয়ে না যায়, তার জন্য এমন গোপনীয়তা নেওয়া হয়েছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশকে গর্বিত করার পুরস্কার! সাকিবকে ‘চোর-চোট্টা’, ‘ডাকাত’ বলে আক্রমণ ইউনূসের প্রেস সচিবের

ঢাকা যৌথবাহিনীর অভিযানে অভিনেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-মাদক

‘৫ অগস্ট আমরাই পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছি’, হাসিনার অভিযোগকে মান্যতা দিলেন জামায়াত সন্ত্রাসী

সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড, বাংলাদেশে ১২৮ ভুয়ো জুলাই যোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল

মহিলাদের লড়াই নিয়ে তৈরি ‘কাঠগোলাপ’ ছবি নিষিদ্ধ করল মোল্লা ইউনূস সরকার

চেহারায় অদ্ভুত মিল, মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ