নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতের তারা থাকতে থাকতেই বালুরঘাটের রঘুনাথপুর-কালিকাপুর বাঁশের সাঁকো সংলগ্ন এলাকায় পূজিতা মা কালীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। তাই স্থানীয়দের কাছে এই এর নাম ‘তারা কালী’। কথিত আছে শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো করতেন মূলত ডাকাতরা। রাতের অন্ধকারে মা কালীর পুজো করে তাঁরা ডাকাতি করতে যেত আর তার তারপর সূর্য ওঠার আগে আকাশে তারা থাকতে থাকতেই তারা ফিরে এসে মা কালীকে বিসর্জন দিতেন। তাই এই কালির নাম ‘তারা কালী’। কালের নিয়মে যদিও ডাকাতরা আজ আর নেই। কিন্তু এই জাগ্রত কালীপুজো চলে আসছে সেই একই নিয়মে, একই রীতিতে।
পুজোর দায়িত্ব এখন পড়েছে স্থানীয় এলাকার খুদেদের ওপর। তারাই চাঁদা তুলে পূজোর আয়োজন করে প্রতি বছর। কিন্তু পুজোর নিয়মে কোন রদবদল হয়নি। আজও কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীর রাতে শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। আর দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন সন্ধ্যেবেলা শুরু হয় পুজো। অমাবস্য়ার রাতে তারা থাকতে থাকতেই পুজো সম্পন্ন করে মাকে আত্রাই নদীর জলে বিসর্জন দেওয়ার রীতি চলে আসছে সেই পূর্বের মতোই। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ কুমার মুন্সী জানান, তাঁর জন্মের আগে থেকেই এই ভাবে পুজো হয়ে আসছে।
তাঁর দাবি, বাবা-কাকারাও ছোট থেকে পুজো করতেন। ফলে এই পুজো যে শতাব্দী প্রাচীন সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত এলাকাবাসী। দিলীপবাবুর আরও দাবি, বাবার কাছ থেকে গল্প শুনেছেন, একসময় ডাকাতরা পুজো করতেন এই তারা কালীর। সেই রীতিই আজও চলে আসছে। তবে বর্তমানে বৈষ্ণবমতে পুজো হয় এথানে। তবে একসময় ডাকাতের চালু করা এই পুজো এখন বারোয়ারি রূপ নিলেও পুজোর রীতিনীতি কোনও বদল হয়নি। এটাই অন্য পুজোর সঙ্গে এই তারা কালীর পুজোকে আলাদা করেছে।